বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক:
মার্ক উডের রানআউটকে পুরো ইনিংসের হাইলাইটস ধরে নিতে পারেন। ইনিংসের দ্বিতীয় শেষ বলে ব্যাটে–বলে হলো না জ্যাক বলের। সরফরাজ আহমেদের কাছে বল থাকা সত্ত্বেও দৌড় দিলেন উড, কিন্তু পৌঁছাতে পারলেন না। ইংল্যান্ডও আজ অনেক চেষ্টা করেও রান তুলতে পারল না ঠিকভাবে। ১ বল বাকি থাকতে ২১১ রানে অলআউট ইংল্যান্ড। জবাবে বিনা উইকেটে ১০৫ রান তুলে ফেলেছে পাকিস্তান। বিদায়ের দিগন্তটা আরও স্পষ্ট হচ্ছে ইংল্যান্ডের কাছে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই কি সর্বস্ব দিয়ে এসেছে ইংল্যান্ড? না হলে সেমিফাইনালের মতো মঞ্চে এসে এভাবে ফর্ম হারাবে কেন স্বাগতিকেরা! বিস্ময় জাগাচ্ছে পাকিস্তানও। ভারতে বিপক্ষে ওভাবে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ওই দলই খেলছে তো আজ কার্ডিফে? এমন বোলিং, বাউন্ডারিতে এমন দুর্দান্ত সব ক্যাচ, সরাসরি থ্রোতে দুটি রানআউট! এটা পাকিস্তানই তো!
ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষে বিস্ময়মাখা এমন অনেক প্রশ্নই জাগছে। ফেবারিটের তকমা নিয়ে নেমে শেষ দিকে ২০০ পার করতে পারে কি না, সে প্রশ্নই জাগছিল! বেন স্টোকস ও টেলএন্ডাররা ঠুকঠুক করে রান নিয়েই দলকে এনে দিয়েছেন ২০০ রানের মাইলফলক। এই টুর্নামেন্টের আট দলের মধ্যে সবার নিচে ছিল পাকিস্তান। কেউ গোনায় ধরেনি এই পাকিস্তানকে। ভারতের কাছে অমন হারের পর তো কোচ মিকি আর্থারের চাকরি নিয়েই টানাটানি পড়ে গিয়েছিল। সব হিসাব পাল্টে দিয়ে ফাইনালে যাওয়ার জন্য মাত্র ২১২ রানের অপেক্ষায় এখন সেই পাকিস্তান!
আজ শুরু থেকেই দ্রুতগতিতে রান তুলতে পারেনি ইংল্যান্ড। ৩০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ১৩৬ রান। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর গত দুই বছরে ৩০ ওভারে এর চেয়ে কম স্কোর মাত্র দুবার করেছে ইংল্যান্ড। তবে জস বাটলার, বেন স্টোকস কিংবা এউইন মরগানের মতো খেলোয়াড়েরা সেটা পুষিয়ে দেবেন বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ৭ উইকেট হাতে নিয়েও শেষ ২০ ওভারে মাত্র ৭৫ রান করেছে ইংল্যান্ড!
৩৫ রানে ৩ উইকেট হাসান আলীর। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন জুনাইদ খান ও রুম্মান রইস।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস