বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় উত্তর কোরীয় এক হ্যাকার জড়িত বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৪ সালে সনি কর্পোরেশনে সাইবার হামলা এবং ২০১৭ সালে বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার কম্পিউটার ম্যালওয়ার ছড়িয়ে দেয়ার জন্যও পার্ক জিন হিয়ক নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। খবর ইউএসএ টুডের।
বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।
যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জন ডেমারস জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া সরকারের আশির্বাদপুষ্ট হয়েই এসব হ্যাকিং কর্মকাণ্ড করেছেন পার্ক জিন। বিচার বিভাগের এই কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগে শুধুমাত্র তার নাম রয়েছে। যদিও এ কাজে তার সঙ্গে আরো অনেকেই জড়িত।
হিয়ক চীনের একটি কোম্পানিতে কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করতেন। ২০১৪ সালে সনিতে সাইবার হামলার কিছু পূর্বে তিনি উত্তর কোরিয়ায় ফিরে যান।
এরপর বাংলাদেশ ও পোল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরির ঘটনায়ও তিনি জড়িত ছিলেন। এছাড়া ২০১৭ সালে বিশ্বব্যাপী কম্পিউটারে ‘ওয়ানাক্রাই র্যানসমওয়্যার’ ছড়িয়ে দেন তিনি। এর ফলে ১৫০ দেশের প্রায় দুই লক্ষ কম্পিউটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এসব সকল হামলার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায় তদন্তকারীরা।
নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে ম্যাসেজ পাঠিয়ে বাংলাদেশের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার রিজার্ভ শ্রীলংকা ও ফিলিপাইনে ট্রান্সফার করে নেয় হ্যাকাররা। তবে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো ২ কোটি ডলার আটকানো গেলেও ফিলিপাইনে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার জুয়ার টেবিল ঘুরে হাতবদল হয়। পরে ফিলিপাইন সরকার দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করে বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ ফিলিপাইনের যে ব্যাংকে পাঠানোর পর হাপিস করা হয়েছিল, সেই রিজল ব্যাংকের কর্মকর্তা মায়া সান্তোস দেগিতো এখন বিচারের মুখোমুখি। তবে দেগিতোর দাবি, এ ঘটনার হোতাদের বাদ দিয়ে তাকে দাবার ঘুঁটি বানানো হয়েছে। তিনি ইঙ্গিত করেছেন, ফিলিপাইনে ওই চুরির অর্থ ঢোকানোর পেছনে অনেক দেশের প্রভাব এবং ক্ষমতাধর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ব্যাংকটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে।
তবে বর্তমানে উত্তর কোরিয়ায় অবস্থান করা পার্ক জিনকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়া হবে কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সূত্র: ঢাকাটাইমস।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস