রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
টানা ৮ দফা কমার পর ফের বাড়লো সোনার দাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সরকারের পাতানো ফাঁদ: আব্বাস আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২ ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ এবি ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা রূপালী ব্যাংকের ঢাকা উত্তর বিভাগীয় ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত রোববার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা স্বাধীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে সমাবেশের ডাক ছাত্রলীগের ৮ মের উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি ফের বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো মিয়ানমারের ৪০ বিজিপি সদস্য ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ মৌলভীবাজারে পুলিশের বাধায় ছাত্রদলের মিছিল পণ্ড প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৭ পদ্মা-মেঘনায় মিলছে না ইলিশ, হতাশ জেলেরা ‘উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব খাটালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ উত্তরায় লেক থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো : মস্কো খিলগাঁওয়ে রিকশাচালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ১৪ দিন পর ডেঙ্গুতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হাসপাতালের ভবনের ফাঁক দিয়ে পড়ে রোগীর মৃত্যু রোববার থেকে আপিল বিভাগের দুটি বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ

বয়স বাড়িয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি!

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৩ মে, ২০১৬
  • ১৭৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন আসলে কবে, গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নথি সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হওয়ার পর তা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ফাঁস হওয়া নথিতে তার জন্মদিন ১৯৪৯র ২৯শে আগস্ট বলে দেখানো হলেও সরকারিভাবে তার জন্মদিন পরের বছরের সেপ্টেম্বরে।

বিরোধী কংগ্রেস দল বিবিসিকে বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখাতেই এই জাল নথি তৈরি করা হয়েছে বলে তাদের সন্দেহ।
নরেন্দ্র মোদির পুরনো একটি টিভি সাক্ষাৎকারও এর মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে – যেখানে তিনি নিজে বলেছেন হাই স্কুলের পর তিনি আর পড়াশুনো করেননি। ফলে প্রধানমন্ত্রী মোদির আসল বয়স আর পড়াশুনো নিয়ে প্রশ্নের পাহাড় জমছে।

নরেন্দ্র মোদির নিজের হোমপেজে তার জন্মদিন ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৫০। গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটে জন্মদিন ভিন্ন---

নরেন্দ্র মোদির নিজের হোমপেজে তার জন্মদিন ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৫০। গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটে জন্মদিন ভিন্ন—

সেই ষাটের দশকের গোড়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি-র জন্য যেভাবে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মেরিলিন মনরো, অনেকটা সেভাবেই নরেন্দ্র মোদিকেও হ্যাপি বার্থডে গেয়ে অভিবাদন জানিয়ে থাকেন বলিউড অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াত।

প্রতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর ভারতের সব চ্যানেলে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানও করা হয়ে থাকে। আর এ সবেরই ভিত্তি হল নরেন্দ্র মোদির সরকারি ওয়েবসাইটে তার ঘোষিত জন্মদিন – ১৯৫০র ১৭ সেপ্টেম্বর।

কিন্তু টাইমস অব ইন্ডিয়া দাবি করেছে, তাদের কাছে গুজরাট ইউনিভার্সিটির এমন একটি নথি হাতে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদি ১৯৮৩তে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ ডিগ্রি পেয়েছেন ৬২ শতাংশেরও বেশি নম্বর পেয়ে – কিন্তু সেখানে তার জন্মদিন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৪৯র ২৯শে আগস্ট।
‘দিন, মাস, সাল, বয়স কিছুই মিলছে না’

গুজরাটের বিরোধী দল কংগ্রেসও বলছে তাদের হাতেও প্রমাণ এসেছে যে মি মোদির জন্মদিনের তারিখে গরমিল আছে।

2016_03_28_11_52_39_SRwdQ1hvwofXbGwR3UqdAwOpt5cgMB_original

কংগ্রেস নেতা ও দলের জাতীয় মুখপাত্র শক্তি সিং গোহিল বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, “নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে সর্বত্র মোদি ১৭ সেপ্টেম্বরকে নিজের জন্মদিন বলে দাবি করে এসেছেন। কিন্তু আমি স্টুডেন্ট রেজিস্টার ও তার স্কুল ছাড়ার সময়কার যে সার্টিফিকেট পেয়েছি তাতে বলা হচ্ছে তার জন্মদিন ১৯৪৯র ২৯শে আগস্ট। কেন এটা হবে? এ তো দিন, মাস, সাল, বয়স কিছুই মিলছে না!”

এর পেছনে কোনও কারসাজি থাকতে পারে বলে অনেকে সন্দেহ করছেন কারণ গত সাত বছর ধরে নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে গুজরাট সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু প্রশ্ন জমা পড়লেও তার কোনও জবাব মেলেনি।

কিন্তু এখন ভারতের তথ্য কমিশনারের নির্দেশের পর গুজরাট ইউনিভার্সিটি জানিয়েছে তিনি প্রথম শ্রেণীতে এম এ পাস করেছিলেন। অথচ বছর দশ-বারো আগে মোদি নিজেই ‘রুবারু’ নামে এক টিভি অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলে, হাইস্কুলের পর তিনি আর পড়েননি।

নির্বাচন কমিশনের হলফনামায় নরেন্দ্র মোদি এমএ পাশ---

নির্বাচন কমিশনের হলফনামায় নরেন্দ্র মোদি এমএ পাশ—

এ কারণেই কংগ্রেসের সন্দেহ, প্রধানমন্ত্রীকে উচ্চশিক্ষিত প্রমাণ করার জন্যই তড়িঘড়ি হয়তো এসব নথি বানানো হয়েছে – আর তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে জন্মদিনের হিসেবে ভুলচুক হয়ে গেছে।

শক্তি সিং গোহিল যেমন বলছিলেন, “এই নথি জাল না-হলে এতদিন তারা চুপ ছিলেন কেন? নরেন্দ্র মোদি প্রথম শ্রেণীতে এম এ পাস করেছেন, এটা জানাতে এতদিন সমস্যা কোথায় ছিল?”

“আর এম এ পড়েছেন খুব ভাল কথা, কিন্তু তার জন্য যে বিএ ডিগ্রি লাগে সেই সার্টিফিকেট কই? না কি শিক্ষামন্ত্রী স্মৃতি ইরানি দিল্লি ইউনিভার্সিটি থেকে সেই নথি এখন তৈরি করাচ্ছেন?”
এই বিতর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা ক্ষমতাসীন বিজেপির পক্ষ থেকে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বয়স বা পড়াশুনো নিয়ে তার পেশ করা হলফনামার সঙ্গে সব কিছু যে ঠিকঠাক মিলছে না, সেই সন্দেহ কিন্তু ক্রমেই জোরালো হচ্ছে।

বাংলা৭১নিউজ/তথ্যসূত্র: বিবিসি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com