বাংলা৭১নিউজ, নাজিম বকাউল, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা গাজীরটেক ইউনিয়নের ওকেল মাতুব্বর ডাঙ্গী গ্রামের আঃ ছালাম মাষ্টারের বখাটে ছেলে রাকিবুল হাসানের কিশোরীবধূ লীমা আক্তার (১৫) বুধবার বিকেল ৩ টায় গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্য করেছে। বখটে স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে নিজ পিতৃালয়ে পালিয়ে আসার পর বুধবার কিশোরীবধূ আত্মহত্য করেছে বলে অভিযোগ। নিহত লীমা আক্তার উপজেলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিন আলমনগর গ্রামের আঃ বারেক মৃধার বড় মেয়ে। পুলিশ নিহতর লাশ ফরিদপুর মর্গে পাঠিয়েছেন এবং চরভদ্রাসন থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
বুধবার শোকাহত পরিবারে গেলে নিহতর আপন খালু নবীন মন্ডল জানায়, মাত্র ৮/৯ মাস আগে স্কুলে পড়া অবস্থায় পার্শ্ববতী গাজীরটেক ইউনিয়নের ওকেল মাতুব্বর ডাঙ্গী গ্রামের আঃ ছালাম মাষ্টারের ছেলে রাকিবুল হাসাস (৩২) এর সাথে লীমা আক্তারের বিয়ে হয়। এ বিয়ের পর স্বামী রাকিবুল হাসান পেশাগত কোনো কাজ না করে শুধু বখাটেপনা ও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। ফলে বখাটে স্বামী প্রতিনিয়ত তার কিশোরী বধুকে মারধর করা সহ টাকা পয়সার জন্য বার বার চাপ দিতে ছিল।
এদিকে স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে কিশোরী বধু প্রায় একমাস আগে শ্বশুর বাড়ী থেকে তার পিতৃালয়ে পালিয়ে আসেন। কিশোরী বধু পিতৃালয়ে আসার পর এক বিকেলে রাস্তায় ঘুরতে আসেন। এ সময় বখটে স্বামী ও তার সহযোগীদের সহায়তায় জোর পূর্বক কিশোরী বধুকে উঠিয়ে নিয়ে প্রায় পনের দিন রাজধানী ঢাকার একটি বাসা বাড়ীতে আটকিয়ে রাখে। এ সময় বখাটে স্বামী কিশোরী বধুর গয়ের স্বর্ণালঙ্কার একর পর এক বিক্রি করে নেশা করতে থাকে। এভাবে প্রায় পনের দিন কেটে গেলে কোনো এক ফাঁকে কিশোরী বধু ঢাকা থেকে পালিয়ে এসে নিজ পিতৃালয়ে ওঠার তিনদিন পর আগ্নহুতী দেয়।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস