শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৯:২১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
টানা ৮ দফা কমার পর ফের বাড়লো সোনার দাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সরকারের পাতানো ফাঁদ: আব্বাস আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২ ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ এবি ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা রূপালী ব্যাংকের ঢাকা উত্তর বিভাগীয় ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত রোববার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা স্বাধীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে সমাবেশের ডাক ছাত্রলীগের ৮ মের উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি ফের বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো মিয়ানমারের ৪০ বিজিপি সদস্য ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ মৌলভীবাজারে পুলিশের বাধায় ছাত্রদলের মিছিল পণ্ড প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৭ পদ্মা-মেঘনায় মিলছে না ইলিশ, হতাশ জেলেরা ‘উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব খাটালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ উত্তরায় লেক থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো : মস্কো খিলগাঁওয়ে রিকশাচালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ১৪ দিন পর ডেঙ্গুতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হাসপাতালের ভবনের ফাঁক দিয়ে পড়ে রোগীর মৃত্যু রোববার থেকে আপিল বিভাগের দুটি বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ

ফিলিস্তিনি নারীকে নগ্ন করে নির্যাতন চালায় ইসরাইল

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৮
  • ১১২৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: কারণে অকারণে যেসব ফিলিস্তিনিকে আটক করে নিয়ে যায়, তাদেরকে অমানষিক যন্ত্রণা দেয় ইসরায়েল। এরমধ্যে ফিলিস্তিনি নারীদের ভয়ানক নির্যাতন করে তারা।

সম্প্রতি ইসরায়েলের জেলে ফিলিস্তিনিদের ওপর ভয়ানক অত্যাচারের কথা জানিয়েছেন হায়ফা আবু সাবাইহ নামের ৩৭ বছর বয়সী এক নারী। আল জাজিরাকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে এমনটি জানান হেব্রনের বাসিন্দা এই নারী।

১৬ মাস ইসরায়েলের কারাগারে আটক থাকার পর সম্প্রতি ছাড়া পেয়েছেন তিনি। যদিও প্রথমে তাকে বিনা দোষে ৫ বছর সাজা দেয় ইসরায়েল। পরে তা কমিয়ে ১৬ মাস করা হয়।

তিনি বলেন, গভীর রাতে আমাদের বাড়িতে ইসরায়েলি সেনারা অভিযানে এসে আমাকে আটক করে। এসময় সৈন্যরা আমাকে ‘সন্ত্রাসি’, ‘হামাস’, ‘বেশ্যা’, পশুসহ বিভিন্ন গালিগালাজ করতে থাকে। তারপর তারা আমাকে আটক করে নিয়ে যায়। আমাকে কারাগারে নেয়া হচ্ছে তা আমি বুঝতে পারিনি।

হায়ফা বলেন, আটক থাকার সময়ে আমাকে মোট সাতটি কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। শেষের কারাগারে আমাকে ঠান্ডা মেঝেতে চোখ বেধে এবং হাতকড়া পরিয়ে ঘন্টার পর ঘ্ন্টা রাখা হতো। এরপর যখন আমার চোখ খোলা হতো তখন দেখতাম একজন সৈন্য একটি প্লেটে কেক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি ক্ষুধার্ত ছিলাম। তখন ওই সৈন্য আমাকে বললো, তুমি কি কিছু খেতে চাও? তোমার কি কিছু প্রয়োজন?

‘এরপরই সে দুইজন নারী সৈন্যকে ডাকত। তারা আমাকে সম্পূর্ণ নগ্ন করে সার্চ করতো। আমার শরীরের সমস্ত পোশাক খুলে ফেলার জন্য তারা আমাকে জোর করত। এমনকি আমার চুলে ক্লিপ এবং স্কার্ফের পিনও খুলে ফেলতে হতো।’

নগ্নভাবে সার্চ করার সময়ের ভয়াবহতা বর্ণনা করতে গিয়ে ক্ষোভের সঙ্গে হায়ফা জানান, ‘এটি ছিল ভয়ঙ্কর এবং অবিশ্বাস্যভাবে অপমানজনক। আমি সারাজীবন আমার শরীরকে রক্ষা করেছি, যতটুকু দেখানো গ্রহণযোগ্য ততটুকু দেখিয়েছি। অথচ যখন আমার সমস্ত পোশাক খুলে নেয়া হয় তখন দুটি অচেনা মানুষের সামনে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে অসহায় মনে হয়।’

তিনি বলেন, নগ্ন করার সময়েও আমি তাদের সামনে আমার অসহায়ত্ব প্রকাশ করিনি। তখন আমি চোখের জল নিয়ন্ত্রণ করতাম। কিন্তু যখন আমি একা হতাম তখন প্রচুর পরিমাণে কাঁদতাম।

ইসরায়েলি কারাগারের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, জীবিত থেকেও নিজেকে মৃত মনে হয়। এটি কবরের মতো। যেখানে আপনি প্রতি মুহূর্তে মরে যেতে চাইবেন। কিন্তু আমরা সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে এর কোনো প্রতিবাদ করতে পারি না। নিজেকে সম্পূর্ণ নিরুপায় মনে হয়।

এছাড়া যাদের ছয় বছর বয়সের নিচে সন্তান রয়েছে তাদেরকে তিনমাস পর পর দশ মিনিটের জন্য একজন সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়।

ফিলিস্তিনিদের অধিকারের বিষয়ে হায়ফা বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা মরতে পছন্দ করে না। আমরা জীবনকে ভালোবাসি এবং সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এমন জনগণ যাদের ভূমি চুরি হয়েছে এবং ঘরবাড়ি দখদারদের দ্বারা দখল হয়েছে। তাহলে বিশ্ব কিভাবে আমাদের নিরবতা আশা করে? কারো অধিকার কেড়ে নিলে কেউই নিরব থাকতে পারে না।’

হেব্রন ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের একটি শহর। এখানে একপাশে রয়েছে ইসরায়েলিদের বসতি। প্রায় ৪০ হাজার ইসরায়েলি এখানে বসবাস করে। আর কয়েক হাজার সৈন্য তাদেরকে পাহারা দেয়। আর সাধারণ ফিলিস্তিনিরা এখানে অসহায়ভাবে জীবন যাপন করে।

১৯৯৪ সালে হায়ফার বাড়ির সামনে ইব্রাহীমি মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার সময় এক ইহুদীর গুলিতে ২৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। আহত হয় আরো অনেকে। এছাড়া ইহুদিরা ফিলিস্তিনিদের সবসময় তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে থাকে। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নারীদেরকে কটু কথা শুনায়।

হায়ফা জানান, আনাত কোহেন নামের এক ইহুদি অত্যন্ত অপমানজনক ব্যবহার করে। সে আমাদের সন্তানদের মারধর করে। এমনকি ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘরে পাথর, কাঁচের টুকরো বা যা সামনে থাকে তাই নিক্ষেপ করে। আর সে সময় ইসরায়েলি সৈন্যরা তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখে। সূত্র : এরাবিয়ান জার্নাল।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com