তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে পিতা কর্তৃক নিজের প্রতিবন্ধী মেয়ে (১৩) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বয়ছে।
এঘটনায় শুক্রবার রাতে পুলিশ লম্পট পিতা হেলাল উদ্দীনকে (৩৮) আটক করেছেন। আটকর্কৃত হেলালের স্ত্রী বাদি হয়ে শনিবার সকালে নিজ স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
শনিবার দুপুরে পুলিশ ওই মামলায় হেলালকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের বিলশহর গ্রামে। হেলাল উদ্দীন বিলশহর গ্রামের মৃত: হাজী রমজান আলীর পুত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের বিলশহর গ্রামের হেলাল উদ্দীন ও তার স্ত্রী এবং এক প্রতিবন্ধী মেয়ে নিয়ে তাদের সংসার। হেলালের স্ত্রী অন্তসস্তা । সে তার পিতার বাড়িতে যায়। বাড়ি একা পেয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে হেলাল অমানুষিক ভাবে জোরপূর্বক তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ করে আসছে। মেয়েকে শ^াসিয়ে দেয় এ কথা কাউকে জানালে তোকেসহ তোর মাকে চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যা করবো বলে হুমকী দেয়।
শুক্রবার ওই প্রতিবন্ধী মেয়ে তার পিতার সঙ্গে নানির বাড়ি সরনজাই গ্রামে বেড়াতে যায়। সেখানে তার মাকে বিষয়টি খুলে বলেন। এবং পিতার সঙ্গে আর বাড়ি ফিরে যেতে চায়না। বিষয়টি জানার পর সরনজাই গ্রামের লোকজন হেলালকে গণপিটুনি দেয়। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সরনজাই গ্রাম থেকে হেলালকে আটক করেন।
তানোর থানা এসআই মনির জানান, আমি বিষয়টি জানার পর রাতে স্থানীয় লোকজনদের সহযোগিতা হেলালকে আটক করি। সে সকলের উপস্থিতিতে তার অপকর্মের দোষ শিকার করেছে।
তালন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, সমাজে এরকম ব্যক্তির কঠোর শাস্তি দেয়া দরকার।
তানোর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, এঘটনায় ওই প্রতিবন্ধী’ মেয়ের মা বাদি হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে। মেয়েটিকে মেডিকেল পরীক্ষা করার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস