রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
টানা ৮ দফা কমার পর ফের বাড়লো সোনার দাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সরকারের পাতানো ফাঁদ: আব্বাস আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২ ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ এবি ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা রূপালী ব্যাংকের ঢাকা উত্তর বিভাগীয় ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত রোববার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা স্বাধীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে সমাবেশের ডাক ছাত্রলীগের ৮ মের উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি ফের বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো মিয়ানমারের ৪০ বিজিপি সদস্য ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ মৌলভীবাজারে পুলিশের বাধায় ছাত্রদলের মিছিল পণ্ড প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৭ পদ্মা-মেঘনায় মিলছে না ইলিশ, হতাশ জেলেরা ‘উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব খাটালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ উত্তরায় লেক থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো : মস্কো খিলগাঁওয়ে রিকশাচালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ১৪ দিন পর ডেঙ্গুতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হাসপাতালের ভবনের ফাঁক দিয়ে পড়ে রোগীর মৃত্যু রোববার থেকে আপিল বিভাগের দুটি বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ

পুলিশ ফাঁড়ির ১৩ সদস্য প্রত্যাহার

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৮
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, খুলনা প্রতিনিধি: খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় পুলিশ ফাঁড়ির ১২ কনস্টেবল ও এক এএসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় তার ভাইকে মারধরের অভিযোগে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তারা খারাবাদ-বাইনতলা পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত ছিলেন।
মঙ্গলবার প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্লা। এদিকে বটিয়াঘাটা থানার ওসি মোজাম্মেল হক মামুন বলেন, যৌন হয়রানির অভিযোগ সত্য নয়।
তবে এক ছাত্র পুলিশের সঙ্গে তর্ক করলে তার সঙ্গে এক কনস্টেবলের হাতাহাতি হয়। যুবকটিকে ফাঁড়িতে নিয়ে মারধরের অভিযোগ করা হলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
কর্তৃপক্ষ ওই ফাঁড়ির ১৩ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার (ক্লোজ্ড) করে। স্থানীয় লোকজন এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই যুবকের বোনকে এক পুলিশ সদস্য যৌন হয়রানি করে আসছিল। যুবকটি এর প্রতিবাদ করায় পুলিশ সদস্যরা তাকে ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে মারধর করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার লোকজন দুপুরে ফাঁড়ি ঘেরাও করে।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসার পর উত্তেজিত লোকজন শান্ত হয়। ছাত্রীর বাবা জানান, তার মেয়ে দশম শ্রেণীতে পড়ে। প্রতিদিন স্কুলে এবং কোচিংয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ফাঁড়ির কয়েক সদস্য যৌন হয়রানি করত।
মঙ্গলবারও একই ঘটনা ঘটে। ছাত্রী বিষয়টি তার ভাইকে জানায়। ছাত্রীর ভাই ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই তারেকুজ্জামানকে বিষয়টি জানাতে যায়। ইনচার্জকে ক্যাম্পে না পেয়ে ফিরে আসে। পরে কনস্টেবল নাঈম, মামুন, রিয়াজ, আবির ও নায়েব জাহিদ বিষয়টি জানতে পেরে যুবকের দোকানে এসে ধরে ফাঁড়িতে নিয়ে যায় এবং মারধর করে। দোকানে ভাংচুরও চালায় তারা।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা ফাঁড়ি ঘেরাও করে। নির্যাতনের শিকার যুবককে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মামলা করা হবে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্কুলে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করে কনস্টেবল নাঈমসহ বেশ কয়েক পুলিশ সদস্য। ছাত্রী তার ভাইকে এ ঘটনা জানায়।
তার ভাই প্রতিবাদ করলে তাকে ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে মারধর করা হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাটি ওসিকে জানাই। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এলে বিক্ষুব্ধ জনতা শান্ত হয়।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com