বাংলা৭১নিউজ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার হরিপুর গ্রামের পীরের বাড়ীর ওরছ থেকে হামিদুল ইসলামকে (২৪) অপহরণের ৬দিন পর কলমাকান্দা থানা পুলিশ ময়মনসিংহ জেলা শহরের বাঘমারা এলাকা থেকে অপহৃতকে উদ্ধার করেছে।
এ ঘটনায় অপহৃতার পিতা আব্দুল করিম বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ অদ্যাবদি মামলাটি এফ আই আর হিসেবে গ্রহন না করায় বাদীর পরিবারে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
লিখিত অভিযোগে প্রকাশ, জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল করিম (৬০) তার স্ত্রী হামিদা খাতুন(৫০) ও ছেলে হামিদুল ইসলামকে নিয়ে তার পীর ফকির নূরের বার্ষিক ওরছ মোবারকে যোগ দিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারী পীরের বাড়ী নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার হরিপুর গ্রামে আসে। ১৮ ফেব্রুয়ারী রাত ৯টার দিকে ওরছ পরিচালনা নিয়ে পীরের ছেলে জালাল মিয়ার সাথে হামিদুলের কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়।
এরই জের ধরে পীরের ছেলে জালাল মিয়া তার কতিপয় অনুসারী নিয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী ভোর রাত ৪টার দিকে হামিদুলের হাত পা বেধে তাকে বেদড়ক মারপিট করে মোটর সাইকেলে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারী অপহৃত হামিদুল অপহরণকারী চক্রের হাত থেকে কৌশলে পালিয়ে এসে বাঘমারায় একটি বাসায় আশ্রয় নিয়ে পিতা আব্দুল করিমকে ফোন করলে তিনি বিষয়টি কলমাকান্দা থানা পুলিশকে অবহিত করেন। কলমাকান্দা থানা পুলিশ ময়মনসিংহ কোতয়ালী থানা পুলিশের সহযোগিতায় ২৪ ফেব্রুয়ারী রাতে বাঘমারা থেকে অপহৃত হামিদুলকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে আব্দুল করিম বাদী হয়ে পীরের ছেলে জালাল মিয়া ও নাতি মৃদুলসহ ৫/৭ জন আসামী করে ২৫ ফেব্রুয়ারী কলমাকান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু অদ্যাবদি মামলাটি রেকর্ড না করায় বাদীর পরিবারে হতাশা বিরাজ করছে।
কলমাকান্দা থানার এস আই নজরুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি অপহৃতকে উদ্ধারের কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসার উদ্যোগ নেয়ায় এখনও মামলাটি রেকর্ড করা হয়নি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস