বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: শীত এলেই লেপ-কাঁথা-কম্বলের কদর বাড়ে। রাতে শীত নিবারণে চাই এসব। গত শীতে অনেকে লেপ-কাঁথা-কম্বল ট্র্যাংকে, সুটকেসে কিংবা আলমারিতে তুলে রেখেছিলেন। গত কয়েকদিন শীতের প্রার্দুভাব বাড়ায় অন্ধকার কুঠুরি থেকে সেগুলো বের করেছেন। কিন্তু এগুলো বের করেই গায়ে দেওয়া উচিৎ নয়। এগুলো সঠিক যত্ন ও পরিষ্কারের নিয়মও জানতে হবে।
অনেক সময় দেখা যায়, এক বছর আগে কেচে তুলে রাখা লেপ-কম্বল দীর্ঘ অব্যবহারের ফলে গন্ধ হয় বা ধুলা পড়ে। সেসব সরিয়ে আবার লেপ-কম্বলকে শীতের জন্য তৈরি করা বা মাঝে কী উপায়ে যত্ন নেবেন, তা জেনে নেওয়া খুবই জরুরি।
শীতের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই জিনিসগুলো ঠিক মতো যত্নের অভাবে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়, আবার কখনো পচন ধরে পুরান লেপ-কাঁথায়। তাই শীতে এগুলোর যত্ন নিতে হবে।
কাঁথার যত্ন: শীতে কাঁথা ব্যবহারের আগে সেগুলো ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে নিন। এমনিতে কাঁথা পরিষ্কার খুব শ্রমসাধ্য। সারাবছর যে ডিটারজেন্ট ব্যবহার করেন তাতেই ডুবিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। তার পর কেচে নিন।
লেপ-কম্বলের যত্ন: শিমুল তুলার লেপ পানি দিয়ে ধোয়া বা ড্রাই ওয়াশ চলে না। বরং বের করার পর তা রোদে দিন। কিছুক্ষণ একটা পিঠে রোদ লাগার পর উল্টে দিন। তবে লেপের কভার আলাদা করে ধুয়ে নিন। কম্বলের ক্ষেত্রেও একইভাবে যত্ন নিন। তবে শিমুল তুলা দিয়ে তৈরি না হলে কম্বল আলাদা করে কাচতে পারেন। শ্যাম্পু মেশানো পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে নিন কম্বল। তবে কম্বলের ওজন বেশি হলে কিন্তু পানিতে ভেজালে তা আরও ভারী হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে লন্ড্রিতেও দিতে পারেন।
সোয়েটার-মাফলার-জ্যাকেটের যত্ন: উলের তৈরি যে কোনো গরম কাপড় বাড়িতেই কেচে ফেলুন। একটানা তিন-চার দিন একই জিনিস ব্যবহার করবেন না। বিশেষ করে একটানা একই উলের জিনিস ব্যবহার করলে ত্বকে নানা ধরনের অ্যালার্জি হয়। তাই এসবের প্রতি যত্নবান হোন। শীতবস্ত্র কাচার জন্য নানা বিশেষ ডিটারজেন্ট বাজারে পাওয়া যায়। সে সব ব্যবহার করুন। ফোমের জ্যাকেটও এভাবেই কেচে ফেলতে পারেন।
কাচার পর খুব বেশি কড়া রোদে দেবেন না উলের জামাকাপড়। বরং রোদের তেজ কম পৌঁছায় এমন জায়গাতেই সে সব মেলুন। এতে রঙ চটে না। তবে লেদার জ্যাকেটের ক্ষেত্রে বাড়িতে না কেচে পেশাদার কোনো লন্ড্রিতে দিন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস