বাংলা৭১নিউজ,(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীতে প্রকাশ্যে ছিনতাই করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে হত্যা মামলার আসামিসহ তিনজন। তাদের ছাড়াতে থানায় তদবির করছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে পটুয়াখালী চৌরাস্তা মহাসড়ক এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় গ্রেফতার ছিনতাইকারী জহির রায়হান (২৮) মাহাবুব হত্যার অন্যতম আসামি। এ সময় পুলিশ জহিরের সহযোগী রুবেল ও পরে দীপু নামে আরও একজনকে আটক করে।
পটুয়াখালী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিলাল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে পটুয়াখালী চৌরাস্তা মহাসড়ক এলাকায় জহির, রুবেল ও দীপু ধারালো অস্ত্রের মুখে ইব্রাহীম নামে এক যুবককে জিম্মি করে। তারা ইব্রাহীমকে বেধড়ক মারধর করে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এ সময় ইব্রাহীমের চিৎকারে ঘটনাস্থলে হাজির হন টহলরত এএসপি হোসেন বিলাল হোসেন। তিনি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে জহির ও রুবেলকে আটক করেন। পালিয়ে যায় দীপু। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ধারালো ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ। আহত ইব্রাহীমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
পরে রাত ১টার দিকে লেবুখালী ফেরিঘাট থেকে পালিয়ে যাওয়া দীপুকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে জহিরকে আটক করা হয়েছে এমন খবর শুনে তাৎক্ষণিক থানায় হাজির হন পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। জহিরকে মুক্ত করতে একাধিক মহল থেকে জোর তদবির চালান সাবেক এ ছাত্রলীগ নেতা। একপর্যায় ইব্রাহীমকে ভয় দেখিয়ে মুচলেখা নিয়ে অভিযুক্তদের ছাড়ানোর প্রক্রিয়া করেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। এ সময় জহিরের পুরনো মামলার বিষয়টি সামনে চলে এসে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসানের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়ে যায় ছিনতাইকারীদের ছাড়ানোর প্রক্রিয়া।
আটক তিন ছিনতাইকারীকে দস্যুতার অভিযোগে মামলা দিয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় পাঠানো হয়। গ্রেফতার রুবেল ও তার সহযোগীদের বাড়ি দুমকী উপজেলায়।
বাংলা৭১নিউজ/এএইচ