রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি আজ উজ্জীবিত বাংলাদেশের সামনে ভঙ্গুর জিম্বাবুয়ে এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে বন্ধ থাকবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ টানা ৮ দফা কমার পর ফের বাড়লো সোনার দাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সরকারের পাতানো ফাঁদ: আব্বাস আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২ ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ এবি ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা রূপালী ব্যাংকের ঢাকা উত্তর বিভাগীয় ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত রোববার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা স্বাধীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে সমাবেশের ডাক ছাত্রলীগের ৮ মের উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি ফের বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো মিয়ানমারের ৪০ বিজিপি সদস্য ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ মৌলভীবাজারে পুলিশের বাধায় ছাত্রদলের মিছিল পণ্ড প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৭ পদ্মা-মেঘনায় মিলছে না ইলিশ, হতাশ জেলেরা ‘উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব খাটালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ উত্তরায় লেক থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো : মস্কো খিলগাঁওয়ে রিকশাচালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ১৪ দিন পর ডেঙ্গুতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু

নোয়াখালী এখন সন্ত্রাসীদের ও অবৈধ অস্ত্রের জনপথ- মওদুদ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, নোয়াখালী প্রতিনিধিবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থীরা অবৈধ অস্ত্র সরবরাহ করছে তাদের ক্যাডারদের। ভোটার ও এজেন্টদের কেন্দ্রে যেতে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। সরকারি দল সন্ত্রাসী পথ বেছে নিয়েছে। নোয়াখালী একসময় ছিল শান্তির জনপথ। আর এখন সন্ত্রাসীদের ও অবৈধ অস্ত্রের জনপথ।

শনিবার সকাল ১১টায় নোয়াখালী বার আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে জেলা ৬টি নির্বাচনী আসনের বিএনপির ৬ এমপি প্রার্থীদের সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।

মওদুদ বলেন, সরকারি দলের পুলিশ, নির্বাচন কমিশন, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা অবৈধ অস্ত্র ও ক্যাডার আছে। কিন্তু মাঠে তাদের ভোট নেই। বিএনপির এমপি প্রার্থীকে মাঠে গণসংযোগ, পথসভা করতে বাধা ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। এটাই আওয়ামী লীগের গণতন্ত্রের নমুনা।

তিনি বলেন, এ জেলায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সে নিজেই সন্ত্রাসীদের মদদদাতা। ওবায়দুল কাদের গত ১১ ডিসেম্বর কোম্পানীগঞ্জ একটি জনভায় সরকারি গাড়ি, ৭টি পুলিশের গাড়ি নিয়ে সমাবেশে বলেছেন, যেখানে মওদুদ সেখানেই ঠেকাও।

মওদুদ আরও বলেন, দেশে ন্যূনতম নির্বাচনের পরিবেশ নেই। আমরা হাজারও প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তফসিল ঘোষণার আগে সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যেভাবে নির্যাতন, গায়েবি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও বাসাবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করছে। তফসিল ঘোষণার পর সরকার দলের এমপি, মন্ত্রী ও নেতাকর্মীরা আগের চেয়ে আরও বেশি নির্যাতন করছে। নির্বাচন কমিশন বলছেন জেলা প্রশাসন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ নিরপেক্ষ থাকবে। নির্বাচন কমিশনার, জেলা প্রশসন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসন আওয়ামী লীগের কথা মেনেই চলছে। জেলায় ৬টি নির্বাচনী আসন দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির ঘাঁটি। এখনো এলাকার মানুষ ৭০-৮০ ভাগ ধানের শীষের পক্ষে আছে।

তিনি আরও বলেন মানুষ যদি সুষ্ঠু নির্বাচন ও কেন্দ্রে ভোট দিতে সুযোগ পান তবে বিপুল ভোটে ধানের শীষের প্রার্থীদের বিজয় করবে। নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট) আসনে আমি পাঁচবার জয়লাভ করেছি। আমার স্ত্রী একবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। জয়-পরাজয় কোনো কথা নয় তবে ভোটারদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ও হয়রানি করছে আওয়ামী লীগ। গত এক মাসে এ আসনে ২০০ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত ৩ দিনে ৮টি স্থানে এ আসনে আমার নির্বাচনী প্রচারণায় ৪টি মাইক ভাঙচুর করে সিএনজিতে বিএনপির কর্মীকে যুবলীগের কর্মীরা পিটিয়ে আহত করছে।

কবিরহাট উপজেলায় নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী প্রকাশ্যে বলেছেন কবিরহাট ধানের শীষের কোনো পথসভা করতে দেয়া হবে না। একরামুল করিম চৌধুরী ফেনী সোনাগাজী থেকে ১-২০০ অস্ত্রধারী হেলমেট পরা সন্ত্রাসীদের অস্ত্র সরবরাহ করে প্রকাশ্যে মহড়া দেয়া হয়। আমার বাড়ির কাজের লোককে অস্ত্রধারী যুবলীগ কর্মীরা প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। এসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কমিশনার পুলিশ সুপারকে বললেও আমলে নেয় না।

মোদ্দা কথা জেলায় ও দেশে অবৈধ অস্ত্রধারী আওয়ামী লীগ-যুবলীগের ক্যাডাররা তাণ্ডব চালায়। কবিরহাট উপজেলায় সন্ধ্যার পর বিএনপির সমর্থক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একাধিকবার অভিযোগ করলেও আমলে নেয় না। এ সরকার চায় না আমরা নির্বাচন করি। আমি নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের কাছে যেতেও পারি না। তবে নির্বাচনে আছি নির্বাচনে থাকব।

গত শনিবার জেলা শহর মাইজদী বিএনপির সাংবাদিক সম্মেলনে বাসা থেকে বের হলে ওসিকে আমার নিরাপত্তার কথা বললে তিনি বলেন, গাড়ি চড়ে আপনি একাই সোজা মাইজদী চলে যান। তিনি আরও বলেন বাসা থেকে বের হয়ে সড়কপথে ভুঁইয়ার হাট সড়কে এলে মাঝপথে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগ-যুবলীগের ক্যাডারদের হেলমেট পরা দেখা গেছে। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয় ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক বাণিজ্য উপদেষ্টা ও নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের বিএনপির এমপি প্রার্থী বরকত উল্লা বুলু, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সমিতির সম্পাদক নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের বিএনপির এমপি প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নোয়খালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী) আসনের বিএনপির এমপি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, নোয়াখালী-২ (সেনবাগ) আসনের বিএনপির এমপি প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নাল আবদিন ফারুক, নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের বিএনপির এমপি প্রার্থী শিল্পপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিম, জেলা বিএনপির সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোট আবদুর রহিম প্রমুখ।

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন আমার নির্বাচনী আসনে সার্বিকভাবে মনে হচ্ছে, এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মীরা ভোট চাচ্ছে না। তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের এলাকায় গণসংযোগ, প্রচারণা, পথসভা ও কেন্দ্রে না যেতে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। গত কয়েক দিন আগে জয়াগ বাজার ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার করতে গেলে ৪টি মাইক আওয়ামী লীগ যুবলীগের কর্মীরা মাইক, বাজারে বিএনপির সমর্থিত ১০-১২টি দোকান ভাঙচুর করে। জয়াগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি সওকত আকবরের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আমার গাড়ি, চাটখিল উপজেলা বিএনপির সম্পাদক গোলাম মোস্তফার গাড়িও ভাঙচুর করে, ছাত্রদল নেতা মানিককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। ওসিকে মোবাইল করলে মামলাও নেয় না।

তিনি বলেন, ওসি সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্টের বিজ্ঞ বিচারপতিকেও মানে না। বিএনপির নেতাকর্মীরা হাইকোর্ট থেকে জামিন আনলে ওসি তাদেরকে গ্রেফতার করে। এ আসনে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগ যুবলীগের কর্মীরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও গ্রেফতার করে না।

বিএনপির এমপি প্রার্থী জয়নাল আবদিন ফারুক বলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না এখনো বঙ্গবন্ধুর কথা বলেন, তারা বলেছেন ২০ দলীয় নেতা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা সঠিক। বিএনপির এমপি প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, নির্বাচনে নামার পর সরকারি দল ও জেলা প্রশাসন যে কাজ করছে মনে হচ্ছে এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তবে নির্বাচন করতে গেলে জীবন হারাতে গেলে এটা প্রশাসন দায়ী হবে।

একপক্ষ প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করে নির্বাচন প্রচারণা করবে অপর পক্ষ ঘরে বসে থাকবে এটা নির্বাচন নয়। মানুষ যদি কেন্দ্রে ভোট দিতে পারে। তবে সরকার দেশের ২০ আসনও পাবে কিনা সন্দেহ আছে। সদর উপজেলা আন্ডার চর ইউপি বিএনপির সম্পাদক হারুন মোল্লার বাড়িতে উঠান বৈঠক করা হয়।

এ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আলী হায়দার বকসির নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন আওয়ামী লীগ-যুবলীগের কর্মীরা বিএনপির উঠান বৈঠকে হামলা করে পিটিয়ে আহত করছে ১০-১২ জন নেতাকর্মীকে। এ আসনে ধানের শীষের পোস্টার লাগাতে দেয়া হয় না। এওজবালিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শুল্লকিয়া গ্রামের আওয়ামী লীগের কোন্দলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি খুন হয়েছে। ওই খুনের মামলায় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ ৩৬৫ জনকে আসামি করে মামলা করছে। এ মামলায় ৮০নং সিরিয়ালে কাদিরহানিফ ইউনিয়নের কাদিরহানিফ গ্রামের মৃত রহমত উল্লার ছেলে আবু তাহের কন্ট্রাক্টর ২০১০ সালে মারা গেলেও তাকেও ওই খুনের মামলায় আসামি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ মামলায় সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, নোয়াখালী মাইজদী শহর, কালাদরাফ ইউনিয়নের বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নের সভাপতি, সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদককে আসামি করা হয়েছে।

বিএনপির এমপি প্রার্থী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিম বলেন, হাতিয়া আসনে পরপর ৩ বার আমি নির্বাচিত হয়েছি। এ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী আয়েশা ফেরদৌস ও তার স্বামী স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মোহাম্মদ আলী উপজেলা বন-জলদুস্যদের মদদদাতা সর্বজনীন স্বীকৃত। গত বৃহস্পতিবার উপজেলা চানন্দি ইউনিয়নের কালাদুর, থানার হাট, ভূমিহীন বাজার, কেয়ারিং চর, পথসভা করে দরবেশ বাজার বেড়ির ওপর যাওয়া হয়।

তিনি বলেন, আগে থেকে ওত পেতে থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলীর অস্ত্রধারী ক্যাডাররা গাড়ির গতিরোধ করে ২০-৩০টি ককটেল বোমা বিস্ফোরণ, ১০-১২ রাউন্ড গুলি করে আমার পাজেরো গাড়ি, সাংবাদিকদের মাইক্রো, অপর ৫টি গাড়ি ও ৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। আমাকে লক্ষ্য করে অস্ত্রধারী দস্যুরা গুলি করে। এতে আমার ছেলে পারহান, সাংবাদিকসহ আহত হয়েছে ৪০ জন। ওই মমলায় পুলিশ উল্টো বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করছে। হাতিয়া উপজেলায় ৪টি খুনের মামলায় স্বতন্ত্র প্রাথী মোহাম্মদ আলী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও পুলিশ গ্রেফতার করে না। মোহাম্মদ আলীর নির্দেশে তার অস্ত্রধারী ক্যাডাররা আমাকে হত্যা করতে হুমকি দেয়া হয়। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারকে লিখিত অভিযোগ করলেও আমলে নেয়নি। সূত্র: যুগান্তর।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com