বাংলা৭১নিউজ, আবুল হাসান সোহেল, মাদারীপুর প্রতিনিধি: নৌপরিবাহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ রাজাকার মুক্ত একটি সংসদ চায়। কিন্তু বিএনপির ২৫ জনের মতো প্রার্থী করেছে যারা চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান ও জামায়াত ইসলামীর সদস্য। এতেই প্রমাণিত হয় যে, বিএনপি জঙ্গি-সন্ত্রাসদের দ্বারা আবারো পাকিস্তানি ভাবনায় একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানাতে ষড়যন্ত্র করছে। রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নৌমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির নেতা নজরুল ইসলাম খানের বলা এক প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান আরো বলেন, ‘নজরুল ইসলাম খান বলেছিলেন যে তারা কোন যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সদস্যকে ধানের শীষে প্রার্থী করবো না। কিন্তু মওলানা সাইদীর ছেলে সামীম সাইদী, জয়পুরহাটের আলীম সাহেবের ছেলে, চট্টগ্রামে সাখা চৌধুরীর ভাইসহ অনেকেই আছে যারা যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সদস্য। সুতারং বিএনপি সব সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যে কথা বলে যায়।’
আসন্ন সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে উল্লেখ করে নৌমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধী দল সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে নানা ধরণের অভিযোগ দিয়ে থাকে। তারা বলেছে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। কিন্তু তাদের এসব অভিযোগ সবটা সত্য নয়। যেটুকু সত্য হবে সেটুকো আইন অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার ব্যবস্থা নিবে।’
শাজাহান খান বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি জন্ডিসের রাজনীতি। তারা যা দেখে সবই হলো খারাপ। সবই তারা হলুদ দেখে। নিরপক্ষে নির্বাচন হয় বলেই সিলেট, কুমিল্লায় সিটি নির্বাচনসহ কয়েকটি নির্বাচনেই বিএনপি বিজয়ী জয়। তাহলে সেটা কি?’
নির্বাচনী আচারণবিধি নিয়ে নৌমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনী আচারণবিধি ভঙ্গ করার কোন সুযোগ নেই। আমার বিধি মেনেই প্রচারণা চালাবো। দ্বিতীয়ত কারো প্রতি জোড় করে আমরা নির্বাচনের বিজয় ছিনিয়ে আনবো না। শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে বাংলাদেশের জনগণ যদি আওয়ামী লীগকে ভোট দেয় তবে আমরা আবার ক্ষমতায় আসবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান খান, সহকারী পুলিশ সুপার (অপারেশন) আনোয়ার হোসেন ভূইয়া, জজ কোর্টের পিপি এমরান লতিফ প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস