রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০২:১৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে : শিক্ষামন্ত্রী বহিরাগত কেউ ময়লার গাড়ি চালালেই কঠোর ব্যবস্থা: ডিএনসিসি ফালুর অবৈধ সম্পদের মামলায় রেকর্ডিং অফিসারের সাক্ষ্য ইউনিসেফ ইন্ডিয়ার জাতীয় অ্যাম্বাসেডর কারিনা উখিয়ার ক্যাম্পে রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সংঘাতে নেই: কাদের ডিবি কার্যালয়ে মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ তুরস্ক বাণিজ্য বন্ধ করায় ‘বড় বিপদে’ পড়তে যাচ্ছে ইসরায়েল উপজেলা নির্বাচন কুলাউড়ায় সংঘর্ষে দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আহত ২০ বাবা ছিলেন বাসচালক মা দরজি, ছেলে লন্ডনের মেয়র ম্যাচিং না হলে প্রিজাইডিং অফিসারের আঙুলের ছাপে দেওয়া যাবে ভোট জম্মু-কাশ্মীরে বন্দুক হামলায় ভারতীয় বিমান সেনা নিহত, আহত ৫ তাপপ্রবাহ না বৃষ্টি, কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া সুন্দরবনে অল্প অল্প আগুন জ্বলছে, জোয়ারের অপেক্ষায় ফায়ার সার্ভিস ভেঙে গেল অনন্যা-আদিত্যর প্রেম! শাহজাহানপুরে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে নববধূর আত্মহত্যা খাগড়াছড়িতে বজ্রপাতে বসতঘরে আগুন লেগে মা-ছেলের মৃত্যু ঢাকায় আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ডিসিও মহাসচিবের বৈঠক দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি আজ উজ্জীবিত বাংলাদেশের সামনে ভঙ্গুর জিম্বাবুয়ে

নাব্য সংকটে বন্ধ হবার পথে ফরিদপুরের সিএন্ডবি ঘাট নৌ-বন্দর

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৮
  • ৫৬৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, নাজিম বকাউল, ফরিদপুর প্রতিনিধি: পদ্মা নদীতে নাব্যতা সংকটের কারনে ফরিদপুরের একমাত্র ‘সিএন্ডবি ঘাট নৌ বন্দর’টি বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। বেশ কয়েকমাস ধরে নাব্যতা সংকটের কারনে বন্দরটিতে ভীড়তে পারছেনা পণ্যবাহী কার্গো ও ট্রলার। এছাড়া বেশকিছু কার্গো পদ্মার ডুবো চরে আটকে আছে। নদী বন্দর থেকে ৬ কিলোমিটার দুরে পন্যবাহী কার্গো ও বড় ট্রলার নোঙ্গর করায় ব্যবসায়ীরা বিড়ম্বনায় পড়েছেন। ফলে ব্যবসায়ীরা এ বন্দর দিয়ে মালামাল আনা নেবার ক্ষেত্রে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
ফরিদপুরের সিএন্ডবি ঘাটকে ২০১৫ সালে ‘ফরিদপুর নদী বন্দর’ হিসাবে ঘোষনা করা হলেও এর কোন সুফল পাওয়া যায়নি। পদ্মা নদীর সংলগ্ন ফরিদপুরের সদর উপজেলার উত্তরের সীমানা ডিক্রিরচর ইউনিয়নের টেপুরাকান্দি, দক্ষিণের সীমানা আলীয়াবাদ ইউনিয়নের সাদিপুর মৌজা পর্যন্ত নদী বন্দরের সীমানা নির্ধারণ করা হয়।
নদীবন্দর ঘোষনা হলেও এখনো শুরু হয়নি উন্নয়নমুলক কাজ। নদী বন্দরকে ঘিরে উন্নয়নমূলক কাজ হাতে না নেয়ায় মুখ থুবরে পড়তে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এ বন্দরটি। বর্তমানে পদ্মানদীতে ড্রেজিং না হওয়ায় নাব্যতা সংকটে পড়েছে ঘাট সংলগ্ন এলাকা। এতে ঘাটে ভিড়তে পারছেনা পন্যবাঘী কার্গো ও বড় বড় ট্রলার। ঘাট থেকে ৫/৬ কিলোমিটার দুরের গদাধর ডাঙ্গী গ্রামের পদ্মানদীতে নোঙ্গর করতে বাধ্য হচ্ছে পন্যবাহী কার্গো গুলো। আটকে থাকা বাহনের নাবিক ও সহযোগীরা জানান, মাঝারি ধরণের পন্যবাহী নৌযান চলাচলের জন্যে কমপক্ষে ৮ ফুট নাব্যতা থাকার প্রয়োজন হয়। কিন্তু পদ্মানদীর ওই অংশে কোথাও কোথাও নাব্যতা রয়েছে চারফুটেরও কম। এতে মালবাহী নৌযান নিয়ে ঘাটে পৌছানো যাচ্ছেনা। অনেকে আবার একমাস অধিক সময় ধরে এখানে আটকে আছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছেন নৌযান মালিক ও ব্যাবসায়ীরা।
faridpur pic-2
এদিকে, এ নৌপথে গম/চাল আনয়নকারী শরিফুল ইসলাম ও সিমেন্ট ব্যবসায়ী হেলালুর রহমান জানান, সময় মত মালামাল না আসায় ও আটকে থাকা নৌযান থেকে ছোট ছোট নৌযান ব্যাবহার করে পন্য খালাস করে ঘাটে আনা ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা। ভারত থেকে কয়লা আমদানীকারক হামিদুল, চাল, সিমেন্ট আমদানীকারক রবিউল হাসান জানান, সিএন্ডবি ঘাট বন্দরটি বন্ধ হবার কারনে তারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। বন্দর থেকে কয়েক কিলোমিটার দুরে কার্গো ভেড়ার কারনে তাদের খরচ বেশী হচ্ছে। তাছাড়া যে স্থানে কার্গো গুলো ভীড়ছে যেখানে নিরাপত্তা নেই। নেই মালপত্র রাখার কোন সেড। ফলে ধান, গম, সিমেন্টসহ নানা পন্য অরক্ষিত অবস্থায় রাখা হচ্ছে। অনেক সময় চুরির ঘটনাও ঘটছে। নদীর পাড় থেকে মূল রাস্তা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সরু ও কাঁচা সড়ক হওয়ায় ট্রাক দিয়ে মালামাল লোড-আনলোড করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন পরিবহন চালকেরা। অস্থায়ী ঘাট এবং রাস্তা সংস্কার করতে গিয়ে ঘাট ইজারাদারকে প্রতিনিয়ত গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। নদী বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী, ঘাট ইজারাদারের অভিযোগ, সিএন্ডবি ঘাটটি সচল রাখতে পদ্মা নদীর কয়েকটি স্থানে ড্রেজিং করা প্রয়োজন। সম্প্রতি, দুটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু কেটে সরানোর কাজ করা হলেও তা কোন কাজেই আসছেনা। এরমধ্যে একটি ড্রেজার সরিয়ে নেয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বালু কাটার ড্রেজার দিয়ে কোন কাজই করা হচ্ছেনা। বিআইডব্লিউটিএ’র কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ড্রেজার দিয়ে বালু না কেটে তেল বিক্রি করছেন এবং ভুয়া বিল উত্তোলন করছেন। স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন ৩/৪ ঘন্টা ড্রেজার মেশিন চালানো হয়। এতদিন বালু কেটে নৌ-চলাচলের রুট তৈরী হবার কথা কিন্তু কিছুই হচ্ছেনা। এদিকে, ড্রেজার দিয়ে বালু কাটার বিষয়ে কোন তদারকি নেই বিএডব্লিউটিএ’র। সরেজমিন বালু কাটার স্থানে গিয়ে বিআইডব্লিউটিএ এর কোন কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি।
faridpur pic-1
ঘাট ইজারাদার কর্তৃপক্ষ এম এ সালাম লাল জানান, সিএন্ডবি ঘাটকে নদী বন্দরে উন্নীত করা হলেও এটি সচল রাখতে কতৃপক্ষের কোন আগ্রহ নেই। এ বন্দর দিয়ে চট্রগ্রাম, নারায়নগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন বন্দর থেকে সরাসরি পন্য আসে। ফরিদপুর থেকে প্রতিদিন গরু ও ধান, পাটসহ বিভিন্ন পন্য পরিবহন করা হয় বিভিন্ন এলাকায় এবং বিভিন্ন বন্দর থেকে সিমেন্ট, বালু, কয়লা, রডসহ অন্তত ৫০ ধরণের পন্য আনা-নেওয়া করা হয়। তিনি মনে করেন, নাব্যতা সংকট দুরীভুত না হলে মালামাল পরিবহন একেবারেই কমে যাবে। এতে কমে যাবে রাজস্ব আদায়। বর্তমানে পদ্মা নদীর নাব্যতার কারনে নৌ-বন্দরটিতে ভীড়তে পারছেনা কার্গো, বড় ট্রলারসহ ছোট জাহাজ। ঘাট থেকে ৬ কিলোমিটার দুরে পন্যবাহী কার্গো গুলো ভেড়ার কারনে নানা সমস্যা এবং সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া ড্রেজার মেশিন দিয়ে যেভাবে বালু কাটা হচ্ছে তাতে করে কতটুকু কাজ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। দ্রুত নদী বন্দরটি সচল না করা গেলে ব্যবসায়ীরা প্রচন্ড ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। তাছাড়া ইজারাদারও লোকসানের মুখে পড়বে।
বিআইডব্লিউটিএ এর উপ-পরিচালক (সার্ভে) আশফাকুর রহমান জানান, ড্রেজার দিয়ে বালু কেটে নদী বন্দরটি সচল রাখার চেষ্টা চলছে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই আশা করা যাচ্ছে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com