বাংলা৭১নিউজ, মনজুর-ই-মওলা সাব্বির, নাটোর প্রতিনিধি : নাটোর রেলস্টেশনে রাজশাহীগামী আন্তনগর তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা । উত্তেজিত যাত্রীরা পরে ওই ট্রেনের একটি বগিসহ স্টেশন মাস্টারের অফিসে হামলা করে ভাংচুর চালায় । চলন্ত ট্রেন থেকে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে অন্তত ১০যাত্রী আহত হয়। এসময় নাটোর সদর থানা পুলিশ ও র্যাবের একটি দল স্টেশনে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
রেলওয়ে ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ছুটির দিনে পিকনিক পার্টিসহ অসংখ্য যাত্রী রাজশাহীগামী তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে ভ্রমন করে। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ট্রেনটি নাটোর স্টেশনে এসে দাঁড়ালে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাত্রীরা ট্রেন থেকে তাড়াহুড়ো করে নামতে যায়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী নাটোর স্টেশনে ৪ মিনিট বিরতির কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই ট্রেনটি ছেড়ে দেয়। এ সময় অনেক যাত্রী বিশেষ করে নারী ও শিশুরা নামতে না পেওে চিৎকার করে ও কান্নাকাটি শুরু করে। এসময় তারা হুড়োহুড়ি করে নামতে গেলে অন্তত ১০ যাত্রী আহত হয়।
ট্রেনে অবস্থানরত অন্য যাত্রীরা ট্রেনের হোস পাইপ খুলে ফেললে নাটোর রেলক্রসিং বরাবর ট্রেনটি থেমে যায়। তখন বিক্ষুদ্ধ যাত্রীরা ট্রেনের একটি বগিসহ স্টেশন মাস্টারের কক্ষে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। তারা টেলিফোন লাইনের সংযোগ তার ছিঁড়ে ফেলে এবং ওই কক্ষের দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার জমসেদ আলী ভাংচুরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ট্রেনটির দাঁড়ানোর সময় ছিল ৩ মিনিট এবং নির্ধারিত সময়েই ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেঁড়ে দেয়। কিন্তু অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় অনেকে নামতে পারেননি। তারা ট্রেনটি থামিয়ে পরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
এ ঘটনার পরে চিলাহাটি থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনটি জনতা আটকে দিলে প্রায় ৩০ মিনিট দেরীতে নাটোর ছেড়ে যায়। টেলিফোনের তার ছিঁড়ে ফেলায় সংযোগ বিচ্ছিন্নের কারণে কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার তার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস