বাংলা৭১নিউজ,নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে নবম শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী। আর ওই বিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক এক কাজীকে জেল দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
বুধবার রাতে উপজেলার নন্দীকুজা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সাজাপ্রাপ্ত কাজীর নাম আমানুর রহমান। তিনি উপজেলার দয়ারামপুরের কাজীপাড়া আহম্মাদিয়া আলিম মাদরাসার শরীরচর্চা বিষয়ের শিক্ষক এবং আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী।
বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস সূত্রে জানা যায়, নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের চক নাজিরপুর গ্রামের মোমিন উদ্দিনের মেয়ে ফাতেমাতুজ্জোহরা ওরফে মনিকার (১৬) বিয়ে পাশের রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার এক ছেলের সাথে ঠিক করেন পরিবারের লোকজন। মনিকা কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
বুধবার রাত সাড়ে দশটায় বাগাতিপাড়ার নন্দীকুজা গ্রামে মোমিন উদ্দিনের ভাড়া বাসায় ওই বিয়ের আয়োজন চলছিল। বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন বানু খবর পেয়ে পুলিশসহ বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে কনের বাবা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পরে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে কাজী আমানুর রহমানকে আটক করে বিয়ে পন্ড করা হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন বানু ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাকে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন বানু বলেন, নিবন্ধিত কাজী আমানুর রহমানকে এর আগে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হলেও তিনি আবারও বাল্য বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফলে এবার তাকে বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন ২০১৭ এর ১১ ধারায় কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসকে