বাংলা৭১নিউজ, নরসিংদী প্রতিনিধি: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী-২ আসনে অংশ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই হেভিওয়েট নেতা।
আসনটিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন পলাশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ।
অন্যদিকে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান।
এ ছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল মার্কা নিয়ে নির্বাচন করছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আজম খান।
তবে নির্বাচনের মূল লড়াই হবে নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যে। ফলে এবারের নির্বাচন হচ্ছে দুই খানের মর্যাদার লড়াই।
১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থী ড. আবদুল মঈন খান আসনটিতে বরাবরই সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
২০০৮ সালের ৯ম সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো মঈন খান আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুল আশরাফ খানের সঙ্গে প্রায় ২৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
তার পর ১০ম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় আসনটিতে মঈন খান নির্বাচন করেননি।
ফলে বিগত ১০ বছর ক্ষমতাহীন থাকায় এ আসনটিতে বিএনপি অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে।
১০ম সংসদ নির্বাচনে এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাসদ নেতা জায়েদুল কবির নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন।
দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেই সময় ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ আসনটিতে নির্বাচন করেননি।
তবে নির্বাচনে জায়েদুল কবির স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আশরাফ খানের কাছে পরাজিত হন।
কামরুল আশরাফ খান আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপের আপন ছোট ভাই।
সেই হিসেবে ভাইয়ের সহযোগিতা নিয়ে তিনি দলকে আরও সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলেছেন।
এবার একাদশ নির্বাচনে এ আসনে একাধিক ব্যক্তি মনোনয়ন চাইলেও চূড়ান্তভাবে আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ।
ফলে মনোনয়ন পাওয়ার পর বিজয়টা এখন তার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে নরসিংদীর এ আসনটিতে ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থী ড. আবদুল মঈন খান সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকার পর আসন্ন নির্বাচনে জয়লাভ করাটা তার জন্যও প্রেস্টিজের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে দলের নেতাকর্মীদের আশা-ভোট সুষ্ঠু হলে একাধিকবার নির্বাচিত হওয়া মঈন খান এবার বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। সূত্র: যুগান্তর।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস