বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: আজ রোবার বারবার অনাহূত অতিথি হয়ে হাজির হচ্ছে বৃষ্টি। বারবার ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির আশ্রয়ও নিতে হচ্ছে। ৪৮ ওভারে ৩ উইকেটে ৩১৯ রান তুলেছিল ভারত। পাকিস্তানের ব্যাটিং শুরুর আগে ৪৮ ওভারে লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছিল ৩২৪ রান। আরেক দফা বৃষ্টিতে এখন নতুন লক্ষ্য ৪১ ওভারে ২৮৯ রান। ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ২৭ রান তুলেছে পাকিস্তান। আবারও যে লক্ষ্য বদলাবে না, বলা কঠিন। এজবাস্টনের ঝকঝকে রোদ দেখে বিভ্রান্ত না হওয়াই ভালো!
পাকিস্তান ঠিক পথেই শুরু করেছে। যদিও তাদের তুলনামূলক তরুণ ও অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইনআপের জন্য কঠিন এক পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। ভারতের ব্যাটসম্যানদের পাল্টা জবাব কি দিতে পারবে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা?
ভারত-পাকিস্তান লড়াই মানে একসময় ছিল পাকিস্তানি পেস বনাম ভারতীয় ব্যাটিং। ছবিটা অনেকটাই বদলে গেছে এখন। পাকিস্তানের সেই পেস আক্রমণ আর নেই, উইকেটও এখন রানপ্রসবা। সেই যন্ত্রণা আজ ভালোমতোই টের পেলেন পাকিস্তানি বোলাররা। ভারতের প্রত্যেক ব্যাটসম্যানই আজ রীতিমতো ‘নির্যাতন’ করেছেন পাকিস্তানি বোলারদের। রোহিত শর্মাই কেবল রানের চেয়ে বল খেলেছেন বেশি। ১১৯ বলে ৯১। ৬৫ বলে ৬৮ শিখর ধাওয়ানের। ২৫তম ওভারে ধাওয়ান ফেরার আগে উদ্বোধনী জুটিতেই এসেছে ১৩৬ রান।
শুরুর এই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে এরপর চড়াও হলেন বাকিরা। রোহিত রান আউটের শিকার হয়ে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেন। তবে তার প্রভাব পড়ল না ম্যাচে। কোহলি ৬৮ বলে ৮১ রানে অপরাজিত থাকলেন। যুবরাজ ৩২ বলে ৫৩ করে বোঝালেন বুড়ো হাড়ের ভেলকি। শেষ ওভারের প্রথম তিন বলে তিন ছক্কা হাঁকানো হার্দিক পাণ্ডিয়া ৬ বলে ২০ রানে অপরাজিত থেকে বোঝালেন, ধোনি বিদায় নিলেও শেষের ঝড় তোলার সমস্যায় ভুগতে হবে না ভারতকে।
শেষ ৪ ওভারেই ভারত তুলল ৭২ রান। না হলে এক সময় চাপে ফেলে দিয়েছিল পাকিস্তানি বোলাররা। এই ম্যাচে বোলারদের একমাত্র সাফল্য সেই কয়েকটি ওভারই। দুই বোলার মাঠ ছেড়ে বেরিয়েই গেলেন, মাঠে যন্ত্রণায় কাতর ছিলেন। সেই যন্ত্রণা পাকিস্তানের বোলারদের সবার মুখেই ছিল স্পষ্ট।
এর মধ্যে আমির অবশ্য বেশ ভালো বোলিং করছিলেন। ৮.১ ওভারে দিয়েছেন ৩২ রান। তবে ওয়াহাব রিয়াজের ওভার শেষ না করে বের হওয়াটা কারও কারও মনে হতে পারে যেন লড়াই থেকে পালিয়ে বাঁচা।
ম্যাচে আরও বেশ কয়েকবার বৃষ্টি বাগড়া দিতে পারে। পাকিস্তানকে রান তাড়া করতে গিয়ে তাই এই ব্যাপারটিও মাথায় রাখতে হচ্ছে। ৩০ ওভারে নেমে এলে তাদের নতুন লক্ষ্য হবে ২২৯। ২০ ওভারে নেমে এলে লক্ষ্য হবে ১৭৩। কমপক্ষে ২০ ওভার না হলে খেলা পরিত্যক্ত। এরই মধ্যে একটি ম্যাচ দেখেছে এমন পরিণতি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস