বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক:
আইসিসি র্যা ঙ্কিং অনুসারে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম পাকিস্তান লড়াইটা অসম। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবচেয়ে শক্তিশালী দলের সঙ্গে সবচেয়ে দুর্বলের ম্যাচ। কারণ প্রোটিয়ারা র্যাাঙ্কিংয়ের ১ নম্বর দল। আর পাকিস্তান আটে। এজবাস্টনে দক্ষিণ আফ্রিকা যখন মাঠে নেমেছে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে তখন পাকিস্তানের চিন্তায় জয়ে ফিরে টুর্নামেন্টে টিকে থাকা।
এই সমীকরণ নিয়ে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের ম্যাচের মতো এদিনও দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের শুরুটা হয়েছে ধীরগতির। দেখে শুনে ব্যাট চালাচ্ছেন দুই ওপেনার। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৬ ওভারে কোনো উইকেটে না হারিয়ে ২৫ রান। উইকেটে আছেন কুইন্টন ডি কক ১৬ ও হাশিম আমলা ৫ রানে।
প্রথম বাউন্ডারির জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে চতুর্থ ওভার পর্যন্ত। ডি কক মাঠছাড়া করেছিলেন জুনায়েদ খানের বল। এখন পর্যন্ত বাউন্ডারি ওই একটি। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আমলা এখনো খোলস খুলে বের হননি।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে দলটি। আহমেদ শেহজাদের বদলে পাকিস্তান দলে অভিষেক হয়েছে ওপেনিং ব্যাটসম্যান ফখর জামানের। জুনায়েদ খান খেলছেন রিয়াজের পরিবর্তে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টানা ছয় ম্যাচ জয়হীন পাকিস্তান। তাদের সর্বশেষ জয়টা এসেছিল সেই ২০০৯ সালে, ভারতের বিপক্ষে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে-গুঁড়িয়ে দিয়ে বড় জয়ে শুরু করেছে টুর্নামেন্ট। এখন টানা দুই জয়ে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলার সুযোগ তাদের। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগে শেষ চারের টিকেটটা নিশ্চয়ই হাতে রাখতে চাইবেন ডি ভিলিয়ার্সরা।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ:
হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক (উইকেটকিপার), ফ্যাফ ডু প্লেসি, এবি ডি ভিলিয়ার্স (অধিনায়ক), ডেভিড মিলার, জেপি ডুমিনি, ক্রিস মরিস, ওয়েইন পারনেল, কাগিসো রাবাদা, মর্নে মরকেল, ইমরান তাহির।
পাকিস্তান একাদশ:
আজহার আলি, ফখর জামান, বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ আমির, শাদাব খান, হাসান আলি, জুনায়েদ খান।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস