বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: অর্থপাচারের অভিযোগে এবি (আরব-বাংলাদেশ) ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের ছয় সদস্যকেজিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন ও সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
এর আগে রোববার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে তারা দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হন বলে জানান কমিশনের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।
যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে- শিশির রঞ্জন বোস, মেজবাহুল হক, ফাহিমুল হক, সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন, রুনা জাকিয়া ও মো. আনোয়ার জামিল সিদ্দিকী।
দুদক গত ১ জানুয়ারি ওই ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে চিঠি পাঠায়।এছাড়া অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ব্যাংকটির গ্রাহক ব্যবসায়ী সাইফুল হককে রোববার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান প্রণব।
গত ২ জানুয়ারি অর্থপাচারের অভিযোগে এবি ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তারা হলেন- ব্যাংকের হেড অব করপোরেট মাহফুজ-উল ইসলাম, হেড অব অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) মোহাম্মদ লোকমান, ওবিইউর কর্মকর্তা মো. আরিফ নেওয়াজ, কোম্পানি সচিব মহাদেব সরকার সুমন ও প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা এমএন আজিম।
এর আগে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফজলার রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
এর পর ৩১ ডিসেম্বরে ব্যাংকটির সাবেক এমডি শামীম আহমেদ চৌধুরী ও ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউশন অ্যান্ড ট্রেজারি শাখার প্রধান আবু হেনা মোস্তফা কামালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন এবি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করছেন। অনুসন্ধানে তাকে সহায়তা করছেন দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।
এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও এমডিসহ ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা সিঙ্গাপুরে একটি অফশোর প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে দেশ থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা পাচার করেছেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস