বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় ছাত্রলীগ যদি কোনো অন্যায় করে থাকে, তাহলে ছাত্রলীগকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। এ কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি এ কথাও বলেন, গতকালের ঘটনায় যাঁরা ফটক ভেঙে ভিসির কার্যালয়ে ঢুকেছেন, তাঁদেরও শাস্তি হওয়া উচিত।
জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বুধবার সকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিদর্শনে ওবায়দুল কাদের সেখানে যান।
মঙ্গলবার ছাত্রী নিপীড়নে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের নেতাদের বহিষ্কারের দাবিসহ চার দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানকে ‘উদ্ধার’ করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় অন্তত ৪০ জন আহত হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কেউ জোর করে উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢুকলে সাধারণ ছাত্রদের কি কোনো দায়িত্ব নেই? তারা ছাত্রলীগ করে, কিন্তু এর আগে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তিনি বলেন, ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দের’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা উপাচার্যের কার্যালয়ের ফটক ভেঙেছে, তাদেরও শাস্তি হওয়া উচিত।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি দিক দেখলেন, আরেকটি দিক দেখলেন না? এই যে আরেকটা দিক হলো উপাচার্যের কার্যালয়ের ফটক ভেঙে ঢোকার কি কোনো নিয়ম আছে? এটা কি কোনো গণতান্ত্রিক পন্থা? এটা কি আন্দোলনের অংশ? তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের এখানে অংশগ্রহণ কী? উপাচার্য বলেছেন, ছাত্রলীগের ছেলেমেয়েরা যদি এসে উদ্ধার না করত, তাহলে তাঁর জীবনের ওপর হামলার আশঙ্কা ছিল।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘যেভাবে কলাপসিবল গেট ভেঙে আক্রমণ করা হয়েছে, জোরপূর্বক উপচার্যের কার্যালয়ে ঢোকা হয়েছে, এটা কি গণতান্ত্রিক আন্দোলন?’ তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ এখানে জড়িত কেন, সেটি উপাচার্য আমাকে বলেছেন। তাঁকে অবরুদ্ধ করার পর সেখানে ছাত্রলীগ ও সাধারণ ছাত্রছাত্রীরাও গেছে।’
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদের স্পিকারের বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী স্পিকারের সঙ্গে বসে সংসদে আলাপ-আলোচনা করবেন, এটাও কি মিডিয়াকে জানতে হবে? সংসদের কার্যপ্রণালি নিয়ে কথা বলতে হয়, বলেছেন। কার্যবিধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্পিকারের সঙ্গে বসে কথা বলতেই পারেন।’ তিনি বলেন, ‘এটাকে আপনারা বলছেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বসেছেন। এটা কি আপনারা হাওয়া থেকে বলছেন? এ ধরনের কিছু আমার জানা নেই। আমি জানি না। এটা যখন হওয়ার, তখন হবে। রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে, এটা স্বাভাবিক ঘটনা।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন নতুন না পুরোনো (রাষ্ট্রপতি) থাকবেন, এটা তো আমি বলতে পারছি না। এখন সংসদ সদস্যরা পার্লামেন্টে ভোট দেবেন। ভোটে যদি একাধিক প্রার্থী না থাকেন, তবে একজনই হবেন। এখন কে প্রার্থী হবেন এবং কে নির্বাচিত হবেন, এটা তো আমি বলতে পারছি না। বাংলাদেশের জনগণের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য যে, তিনিই রাষ্ট্রপতি হবেন।’
বাংলা৭১নিউজ/জেএস