বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: সম্প্রতি গুলশান হামলার সাথে জড়িতরা রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন এমন খবরের পর বাড়ির মালিকদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্যসহ তিনজনকে ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ না করা এবং তথ্য গোপন করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাম্প্রতিক এসব ঘটনায় বাড়ির মালিকরা হয়েছেন আগের চেয়ে সচেতন, তবে ভয় ও শঙ্কা কাজ করছে তাদের মনে।
মিরপুরের একটি বাড়ির মালিক ইব্রাহীম হোসেন বলছিলেন ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রাখার প্রয়োজন তিনি নিজেই উপলব্ধি করছেন।
মিরপুরে কয়েক দিন আগে একটি বাসায় গুলশান হামলায় জড়িত জঙ্গিদের আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেছে বলে দাবি করে পুলিশ।
এ ঘটনায় বাড়ির মালিককে একই অভিযোগে আটক করা হয়। এর পর থেকে বাড়ির মালিকদের ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য যেমন পুলিশের কাছে সরবরাহ করছেন তেমনি ব্যক্তি পর্যায়ে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য নিরাপত্তা সামগ্রী কিনছেন।
মোহাম্মদপুরের একজন বাসিন্দা বলছিলেন তিনি তার বাসা –বাড়িতে নতুন করে নয়টি সিসি ক্যামেরা বসিয়েছেন।
সিসি ক্যামেরা ঢাকার বেশ আগে থেকেই আবাসিক এলাকাগুলোতে নিরাপত্তার জন্য বসানো হয়েছে কিন্তু সাম্প্রতিক হামলার পর মেটাল ডিটেক্টর কিনছেন কেউ কেউ।
ধানমন্ডির একটা বাড়ির মালিক বলছিলেন তিনি মেটাল ডিটেক্টর কিনেছেন যাতে করে অপরিচিত কেউ বাড়িতে প্রবেশ করতে চাইলে তার সাথে কোন আঘাত করার মত বস্তু আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করা যাবে।
এদিকে ভাড়াটিয়ারা যারা প্রথম পর্যায়ের পুলিশের এই ফরম পূরণ করাকে ততটা গুরুত্ব দেন নি তাদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে সচেতনতা।
মানুষজন তাদের সচেতনতা ও শঙ্কা থেকে যে নিরাপত্তা সামগ্রীগুলো কিনছেন তাতে করে এর বিক্রি বেড়েছে আগের তুলনায় বেশি।
রাজধানীর স্টেডিয়াম মার্কেট ও বায়তুল মোকারম মার্কেট যেখানে মূলত এই নিরাপত্তা সামগ্রীর দোকান রয়েছে দোকানিরা বলছেন, ঈদের পর সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে গেট, সেন্সর অ্যালার্ম, মেটাল ডিটেক্টর ও সার্চ মিররের বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণ।
সূত্র: বিবিসি
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস