বাংলা৭১নিউজ, আবুল হাসান সোহেল, মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুরে ডাকাতি মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও অজ্ঞাত কারণে তাদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ। ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীসহ সমর্থকরা আতঙ্গিত হয়ে পড়েছে। এসব আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের।
পুলিশ ও নির্ভরযোগ্য সূত্রে মতে, গত ১৯ নভেম্বর মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের সিদ্দিকখোলা ব্রীজ এলাকায় একদল সঙ্গবদ্ধ ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় সদর থানার এসআই বারেক করিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদের ধাওয়া করে সোহেল বেপারী, সজল ওরফে সুজন খা ও আসাদ হাওলাদারকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। পরে গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী রাস্তি ব্রীজ এলাকা থেকে আকাশ বেপারী ও ইব্রাহিম ওরফে জুম্মনকে নামে আরো দুই জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে গ্রেফতারকৃতরা বাকি ডাকাতদের নাম ও পরিচয় বলে। এই ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানায় এসআই বারেক করিম হাওলাদার বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে মামলা করে। তবে এসব আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও অজ্ঞাত কারণে তাদের গ্রেফহার করা হচ্ছে না। বরং প্রায় রাতেই চুরি, ডাকাতির ঘটনা ঘটছে।
গোপন সূত্রে জানা গেছে, ডাকাতি ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের মধ্যে সদর উপজেলার পুটিয়া গ্রামের হাই ফকিরের ছেলে মাহাবুল ফকির, লক্ষ্মীগঞ্জ গ্রামের হাফেজ হাওলাদারের ছেলে জসিম হাওলাদারসহ বেশ কয়েকজন এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা গ্রামের নিরহ মানুষদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। এদের আইনের আওতায় আনার দাবী এলাকাবাসীর। নাম প্রকাশ্যে অনুচ্ছিক এক ব্যক্তি বলেন, মাহাবুল ফকির এর আগে ঢাকাতে ডাকাতি, ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত থাকায় সেখান থেকে এখন এলাকায় এসে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে। এদের গ্রেফতার করার জোর দাবী জানাই।’
এব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই বারেক করিম হাওলাদার জানান, ‘গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসছে। তাদের তথ্য মতে পাঁচ জন ছাড়াও আরো দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।’
বাংলা৭১নিউজ/জেএস