বাংলা৭১নিউজ, গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি প্রতিনিধি : দিনাজপুরের হাকিমপুরে মঙ্গলবার রাতে থানা পুলিশ ইয়াবা সেবনের আসর থেকে ৪ মাদকসেবীকে আটক করলেও এর নেতৃত্বদানকারী এক ইউ পি চেয়ারম্যানকে রহস্যজনক কারনে আটক করা হয়নি। তবে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের দাবী কে বা কাহারা তাদেরকে কক্ষে ইয়াবা রেখে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, উপজেলা বোয়ালদাড় ইউ পি চেয়ারম্যান মো. মেফতাহুল জান্নাত ওরফে মেত্তা পরিষদটির ইউ পি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর থেকেই ইউ পি কার্যালয়টির ২য় তলার একটি কক্ষে তার কিছু সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে মাদকসেবনসহ অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পরেন। ফলে ইতোমধ্যে এই কক্ষটি এলাকাবাসীর মাঝে ‘মিনিবার’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সচেতন এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অনেকবার এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসলেও তাতে কোনই ফল হয় নাই। এরই প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে হাকিমপুর থানার এস আই আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বোয়ালদাড় ইউ পি কার্যালয়টি ঘেরাও করেন। এরপর তার সেই কক্ষটিতে ইয়াবা সেবনের অভিযোগে চেয়ারম্যান মেত্তার সহযোগী বাবুল, এনামুল, খাত্তাপ, শফিকুল ও মিঠু মাষ্টার নামক ৫ জনকে আটক করলেও নাটেরগুরু চেয়ারম্যান মেত্তাকে রহস্যজনক কারনে আটক করা হয়নি।
এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে প্রশ্ন উঠেছে তবে চেয়ারম্যান মেত্তা কি আইনের উর্দ্ধে! এবং পরবর্তীতে থানা থেকে মিঠু মাষ্টারকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর হাকিমপুর থানায় দায়েরকৃত গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তারিখের অন্য একটি মাদক সেবনের মামলায় বাবুল, এনামুল ও শফিকুলকে আটক দেখিয়ে বুধবার তাদেরকে দিনাজপুর আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
এব্যাপারে চেয়ারম্যান মেত্তার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বাবুল, এনামুল, খাত্তাব ও শফিকুলকে সঙ্গে নিয়ে ইউ পি কার্যালয়ে টি ভি (টেলিভিশন) দেখছিলাম। এসময় আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আমার ঘরে (কক্ষ) সার্চ (তল্লাশী) করে তোষকের নিচ থেকে ৪/৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন। আর কে বা কাহারা আমাদেরকে ফাঁসাতে সেগুলি এখানে রেখেছিল। সচেতন এলাকাবাসী চেয়ারম্যান মেত্তাকে আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার করাসহ আটককৃত ৩ জনকে পূর্বের মামলায় আটক দেখানোর অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন।
মিঠু মাষ্টারকে কেন থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হলো, চেয়ারম্যান মেত্তাকে কেন আটক করা হলো না, আটককৃতদের কেন পূর্বের মামলায় আটক দেখানো হলো এবং ইউ পি কার্যালয়ে পরিচালিত অভিযানটি কেন আড়াল করা হলো বুধবার মুঠো ফোনে এ বিষয়গুলি জানতে চেয়ে এস আই আরিফুল ইসলাম ও এসআই রাকিব হোসেন নিকট ফোন করলে তারা দু’জনেই ফোন রিসিভ করেননি। এরপর ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি জেনে নিয়ে জানাচ্ছি এরপর তিনি আর কিছুই জানাননি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস