বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা : পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারকে গভীর রাতে ঢাকায় তার শ্বশুরবাড়ি থেকে পুলিশ নিয়ে গেছে। এতে তার স্বজনদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে গত ৫ মার্চ চট্টগ্রামে তাদের বাসার কাছে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনার পর থেকে চট্টগ্রাম পুলিশ বলেছে, গত দুই বছরে চট্টগ্রামে জঙ্গি দমন অভিযানে বাবুল আক্তারের ভূমিকার কারণে জঙ্গিদেরই সন্দেহের তালিকায় রেখে মিতু হত্যার তদন্ত করছেন তারা।
বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তাদের বনশ্রীর বাসা থেকে বাবুল আক্তারকে নিয়ে যায় খিলগাঁও থানার ওসি মঈনুল হোসেন ও মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার আনোয়ার হোসেন।
“আইজি সাহেব দেখা করতে বলেছেন বলে ওকে নিয়ে গেল। এরপর তার সাথে আর যোগাযোগ করতে পারছি না। যারা নিয়ে গেল তাদের সাথেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।”
স্ত্রী খুন হওয়ার পর থেকে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় শ্বশুর বাড়িতেই থাকছিলেন এসপি বাবুল আক্তার।
মিতু হত্যার ঘটনায় চট্টগ্রামে যে মামলা হয়েছে, বাবুল আক্তারই ওই মামলার বাদী। সে কারণে প্রায়ই তাকে নিজের দায়িত্বের বাইরেও পুলিশের কার্যালয়ে যেতে হত বলে মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, “আগেও ও রাতে গেছে। কিন্তু যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে এমন হয়নি। এ কারণে আমাদের সন্দেহ হচ্ছে। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না কেন? ফোন বাজছে, ধরছে না কেন? বাসায় দুই ব্চ্চা কাঁদছে, মা তো আর নেই।”
এ ব্যাপারে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস