শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৭:৩০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
টানা ৮ দফা কমার পর ফের বাড়লো সোনার দাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সরকারের পাতানো ফাঁদ: আব্বাস আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২ ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ এবি ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা রূপালী ব্যাংকের ঢাকা উত্তর বিভাগীয় ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত রোববার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা স্বাধীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে সমাবেশের ডাক ছাত্রলীগের ৮ মের উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি ফের বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো মিয়ানমারের ৪০ বিজিপি সদস্য ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ মৌলভীবাজারে পুলিশের বাধায় ছাত্রদলের মিছিল পণ্ড প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৭ পদ্মা-মেঘনায় মিলছে না ইলিশ, হতাশ জেলেরা ‘উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব খাটালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ উত্তরায় লেক থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো : মস্কো খিলগাঁওয়ে রিকশাচালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ১৪ দিন পর ডেঙ্গুতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হাসপাতালের ভবনের ফাঁক দিয়ে পড়ে রোগীর মৃত্যু রোববার থেকে আপিল বিভাগের দুটি বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ

খালেদা জিয়ার প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ৪ জুন, ২০১৮
  • ১৫২ বার পড়া হয়েছে
ফাইল ছবি

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (পিডব্লিউ) প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান পিডব্লিউ প্রত্যাহারের এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে এ মামলায় খালেদা জিয়ার অন্তবর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।

এ ছাড়া মামলার অপর আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে এক মাসের সময় আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এদিন বেলা ১১টা ৬ মিনিটের দিকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতেই খালেদা জিয়ার জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তার আইনজীবী। একই সঙ্গে তার আদালতে হাজির করতে ইস্যু করা পিডব্লিউ প্রত্যাহারের আবেদন করেন। এরপর মামলার অপর আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার চিকিৎসার লক্ষ্যে আমেরিকায় যাওয়ার জন্য এক মাসের সময় আবেদন করা হয়।

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পর থেকে খালেদা জিয়াকে আর আদালতে হাজির করা হচ্ছে না।

একজন ডাক্তার বলেছেন, তিনি ফিজিক্যালি আনফিট ফর টুডে। তিনি যদি আনফিট হয়, তাহলে দীর্ঘদিনের জন্য হবেন। আজকের জন্য আনফিট এটা কি ধরনের আইনগত প্রক্রিয়া তা বোধগম্য নয়। তিনিই (খালেদা জিয়া) কি আসছেন না, নাকি ডাক্তার সাহেব তাকে পাঠাচ্ছে না এটা বুছতে পারছি না। খালেদা জিয়া আদালতে আসলে মামলাটি নিষ্পত্তি হয়ে যেত। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আদালতে আবেদন করেন তিনি।

এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, মো. মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মো. জাকির হোসেন ভূইয়া, আমিনুল ইসলাম, জিয়া উদ্দিন জিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় দুদকের পক্ষ থেকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির আবেদন করা হয়। দুদকের করা ওই আবেদনের ওপর ২৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি হয়। ওই দিনও খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির বিরোধীতা করেছিলেন।

শুনানি শেষে চলতি বছরের ১৩ মার্চ আদালত খালেদা জিয়াকে হাজিরের এ আদেশ দেন। এরপর থেকে আদালতের বেশ কয়েটি ধার্য তারিখ পার হলেও কারা কর্তৃপক্ষ অনুস্থতার জন্য তাকে হাজির করেনি বলে আদালতকে জানায়। সর্বশেষ এ দিনও অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির করা হয়নি খালেদা জিয়াকে।

এরও আগে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ সকল আসামির সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ ৭ বছর কারাদ- দাবি করে দুদক প্রসিকিউশন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।

খালেদা জিয়া ছাড়া মামলায় অপর আসামিরা হলেন তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মামলায় হারিছ চৌধুরী পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতাররি পরোয়ানা রয়েছে। আর অপর দুই আসামি জামিনে আছেন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদ- ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের কারাদ- এবং প্রত্যেকের ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জারিমানা করে রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরনো ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। প্রথম শ্রেণীর কারাবন্দি হিসেবে বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com