দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ঈদুল-আযহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভিজিএফ এর ৩৪ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পিআইও কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। এসব চাল ঈদের আগে তালিকাভুক্তদের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যানের গাফিলতি ও অবহেলায় তা বিতরণ করা হয়নি। তালিকাভুক্ত উপকারভোগীরা চাল নিতে না আসার দাবি করেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান।
রবিবার (১৭ জুলাই) রাত ১০টার দিকে উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়ন পরিষদের হলরুম থেকে এসব চাল উদ্ধার করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশিদা আক্তার মুঠোফোনে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদুল-আযহা উপলক্ষে ওই ইউনিয়নের দুস্থদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ১০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা থাকলেও ঈদের আগে তালিকাভুক্ত সব পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয় নাই। আর যাদের মাঝে বিতরণ করেছেন তাদেরও জনপ্রতি দেড় থেকে দুই কেজি করে চাল কম দেওয়া হয়েছে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে চাল উদ্ধার করে পিআইও অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুশীতল গোবিন্দ দেব। পরে এই চাল ইউপি সচিবের জিম্মায় রাখা হয়।
টংগুয়া বাজারের এক যুবক বলেন, প্রধানমন্ত্রী গরিব মানুষের জন্য বিনামূল্যে চাল বিতরণ করছেন আর সেই চাল চেয়ারম্যান আত্মসাতের জন্য রেখে দিয়েছেন। এমনকি ঈদের পর থেকে রাতে করে উপকারভোগীদের বাড়িতে চাল পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ভ্যান ভর্তি চাল নিয়ে যেতেও দেখেছি। যদিও কারো বাড়িতে চাল পৌঁছে দেওয়ার কথা শোনা যায়নি। এটা গরিব মানুষের পেটে লাথি দিয়ে সরকারের ইমেজ নষ্ট করার পাঁয়তারা। আমরা এর বিচার চাই।
চাল উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশিদা আক্তার বলেন, ‘ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের ভিজিএফের চাল বিতরণ না করে ইউনিয়ন পরিষদে রাখার অভিযোগ পেয়ে পরিষদ ভবনের হলরুম থেকে ৩৪ বস্তা ভিজিএফ’র চাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে তালিকাভুক্ত লোক না আসায় চাল বিতরণ করা হয় নাই। এখানে আত্মসাৎ করার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
বাংলা৭১নিউজ/এআরকে