শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৭:৪৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
‘ইসরায়েলগামী’ ৩ জাহাজে হুথির ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সিআইপি হলেন প্রাণ-আরএফএলের তিনজনসহ ১৮৪ ব্যবসায়ী হবিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত, আহত ৫০ জুয়া ও হুন্ডির কারণে মুদ্রাপাচার বাড়ছে: অর্থমন্ত্রী একনেকে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন ডলারের দাম বাড়ায় আমদানিতে প্রভাব পড়বে না: সালমান এফ রহমান খোলাবাজারে ডলার ১২৫ টাকা মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ খাদ্যমন্ত্রীর বড় ভাই ধীরেশ চন্দ্র মজুমদার মারা গেছেন হবিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪০ প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’ হস্তান্তর বগুড়ায় স্বামী-স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু গরু পাচারে বাধা দেওয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা পূবালী ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে ৩০.৮৩ শতাংশ রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও ৩ কোটি ডলার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ইসলামী ব্যাংকের হজ বুথ উদ্বোধন অধিকাংশ অভিযোগই স্বীকার করেছে মিল্টন : ডিবি প্রধান উপজেলা নির্বাচনে ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে: ইসি আলমগীর ভারত তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল হামাস সংঘাত রাফার হাসপাতালগুলোও বন্ধ হওয়ার পথে

খরায় চৌচির বীজতলা, বিপাকে কৃষকেরা

নরসিংদী প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০২২
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে দিনভর আকাশজুড়ে মেঘ আর ঝুম বৃষ্টি হবে-এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রকৃতি যেন এবার রাগ করেছে! ভরা বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা নেই। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের দেখা নেই নরসিংদীর মনোহরদীতে। অনাবৃষ্টির কারণে খরায় ফেটে চৌচির রোপা আমনের বীজতলা।

আগামী সপ্তাহ থেকে জমিতে রোপা আমন চাষ করার কথা থাকলেও বৃষ্টি না হওয়ায় জমি চাষ করতে পারছেন না কৃষকরা। এ কারণে কৃষকের কপাল চিন্তার ভাঁজ। সময়মতো ধান রোপণ করতে না পারলে চলতি মৌসুমে ভালো ফলন পাওয়া যাবে না।

তবে কয়েকজন কৃষক বাধ্য হয়ে সেচের পানি দিয়ে বীজতলায় আমনের চারা তৈরির চেষ্টা করলেও এখন পানির অভাবে জমি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। রোদে মানুষসহ হাঁসফাঁস করছে পশু-পাখিও। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। একটু শীতল ছায়া বা এক পশলা বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছে উপজেলাবাসী। কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না হলে একদিকে যেমন কৃষকের সেচ খরচ বৃদ্ধি পেয়ে ধানের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে, অন্যদিকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বীজতলা ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে রোপা আমনের জন্য তৈরি বীজতলায় ধানের চারাগুলো সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারছে না। পানির অভাবে বীজতলা ও ফসলি জমি ফেটে চৌচির হয়ে আছে।

শুকুন্দী সুতালরীকান্দা গ্রামের কৃষক মানিক মিয়া, রফিক ও আহম্মদ আলী জানান, আষাঢ় মাস শেষ হয়ে শ্রাবণ মাস চলছে অথচ এখনো পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়নি। পানির অভাবে ধানের চারাগুলোও বড় হতে পারছে না। বীজতলায় পানি খুব দরকার। এদিকে মাঠে ধান রোপণের জন্য হাতে সপ্তাহ দুয়েক সময় আছে। এর মধ্যে যদি পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হয় তাহলে এ বছর রোপা আমন চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব হবে না।  

কৃষকরা আরো জানান, আগে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে জমিতে রোপণ করা ধানের চারা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যেত। অথচ এ বছর অনাবৃষ্টির কারণে জমিতে ধান রোপণ করা নিয়েই চিন্তিত আছি। বৃষ্টি নেই, খাল-বিল শুকিয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বলেন, ‘ভরা বর্ষায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। তবে কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলে চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা থাকবে না। ’

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com