বাংলা৭১নিউজ, জাহাঙ্গীর হোসেন, মির্জাপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের উদ্যমী ছেলে জাহিদুল ইসলাম হৃদয় এখন রমন ব্যধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে হাসিখুশি আর আনন্দ ফুর্তিতে মেতে থাকা মা-বাবার একমাত্র ছেলে হৃদয় এখন অনেকটায় দুর্বল হয়ে পড়েছে।টকবগে এই তরুণ করটিয়া সা’দত বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি ডিপার্টমেন্টের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র।বাড়ি মির্জাপুর পৌরসভার বাইপাস এলাকায়। পিতা শাহিন সিকদার পেশায় একজন মোবাইল ফোন দোকানদার।মির্জাপুর বাজারের বংশাই রোডে তার মোবাইল ফোন ও ফ্লেক্সিলোডের দোকান রয়েছে।ছেলে হৃদয় ছাড়াও সামিয়া নুসরাত কথা নামে শাহিন সিকদারের আট বছরের মেয়ে রয়েছে।
উদ্যমী হৃদয় বাবা-মা ও বন্ধুদের সহায়তায় যখন জীবনের রঙিন স্বপ্ন বাস্তবায়নের খুব কাছাকাছি। ঠিক সেই মুহুর্তে তার শরীরে ধরা পড়ে মরন ব্যধি ক্যান্সার।অভাব না থাকলেও অল্প আয়ের শাহিন সিকদারের ছোট্ট সংসারে সুখ-শান্তির কমতি ছিল না। কিন্ত চিকিৎসকের এমন রিপোর্টে পরিবারের সব স্বপ্ন যেন নিমিশেই ধূলিসাত হয়ে যায়। অফুরান্ত রঙিনে ভরা হৃদয়ের জীবন থেকে ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে জীবনের সব রঙ। ছন্দপতনের শব্দে তিনি এখন কাতর। বর্তমানে হৃদয় ভারতের টাটা ম্যামোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।মেধাবী এ শিক্ষার্থীকে বাঁচাতে আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন। সকলের সহায়তায় ছেলে সুস্থ হয়ে উঠবে এ আশায় হাসপাতালে নির্ঘুম রাত্রি যাপন করেছেন হৃদয়ের বাবা-মা।
হৃদয়ের পিতা শাহিন সিকদার জানান, গত কয়েক মাস আগে হঠাৎ করেই হৃদয়ের ডায়রিয়া ও বহি হয়। প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিক ও পরে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও ভাল হচ্ছিল না। পরীক্ষা নিরিক্ষা করে চিকিৎসক জানান হৃদয়ের ক্যান্সার হয়েছে।পরে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি নেয়া হয়।সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, তার ব্রোনমেরুতে রক্ত সঞ্চালন হচ্ছে না। উন্নত চিকিৎসা করাতে হবে। প্রয়োজনে অপরাশন করাতে হবে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।ছেলের চিকিৎসার জন্য জমি বিক্রি করে দেশে চিকিৎসা করিয়েছি। এখন ক্যান্সার প্রতিরোধে আরো ১৫ লাখ টাকার প্রয়োজন বলে শাহিন সিকদার জানান।
এদিকে হৃদয়ের কয়েকজন বন্ধু মিলে উদ্যোগ নিয়েছে তারা চিকিৎসায় ব্যয় মেটাতে সকলের কাছে সহায়তা হাত বাড়াবে। সে লক্ষে তারা ফান্ড সংগ্রহে নেমেছেন।এ বিষয়ে তারা মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত সাদমীনের কাছে পরামর্শ ও সহায়তা চেয়েছেন। ইউএনও ইসরাত সাদমীন ক্যান্সারে আক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র হৃদয়ের চিকিৎসার অর্থ সংগ্রহে ‘জাহিদুল ইসলাম হৃদয়’ নামে চিকিৎসা সহায়তা কমিটি’ গঠন এবং ‘হৃদয় চিকিৎসা সহায়তা তহবিল’ নামে একটি ব্যাংক হিসাব খোলার পরামর্শ দিয়েছেন।
হৃদয়ের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বন্ধুরা জাহিদুল ইসলাম হৃদয়ের জীবন বাঁচাতে দেশ বিদেশে অবস্থানকারী হৃদয়বানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।জাহিদুল ইসলাম হৃদয়কে সহায়তা করতে চাইলে তার পিতার মোবাইল ফোন দোকানের বিকাশ নাম্বার: 01777092444 তে সহায়তা করার জন্য আহবান জানিয়েছেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস