বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেনের জামিন নাকচ করেছেন আদালত।
রোববার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
এর আগে শনিবার দুই দিনের রিমান্ড শেষে ফারুককে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ওই দিন আদালত ফারুককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরও আগে গত ৩ জুলাই ফারুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আদালত সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টা থেকে ২টার মধ্য শতাধিক মুখোশধারীরা উপাচার্যের বাড়িতে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র লোহার রড, পাইপ, হেমার, লাঠি ইত্যাতি নিয়ে উপাচার্যের বাড়ির ওয়াল টপকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। দুষ্কৃতকারীরা ঐতিহ্যবাহী ভবনে সংরক্ষিত মূল্যবান জিনিসপত্র, আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ, ফ্যানসহ সকল মালামাল ভাঙচুর করে।
ভবনে রক্ষিত দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। ভবনে রক্ষিত সিটি ক্যামেরা ভাঙচুর করে ও আলামত নষ্টের জন্য কম্পিউটারে রক্ষিত ডিভিআর পুড়িয়ে দেয়। এতে কমপক্ষে দেড়কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় ১০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার এসএম কামরুল আহসান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের মামলা করেন। এ ছাড়া একই সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের রাস্তা বন্ধ করে টায়ার ও আসবাবপত্র জালানোসহ নাশকতা সৃষ্টি এবং পুলিশকে মারধরের ঘটনায় আরও তিনটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। তবে কোনো মামলার এজাহারেই আসামির নাম উল্লেখ নেই। অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিটি মামলাই রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা হয়।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস