বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে জামিন দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে।
আগামী রোববার এ বিষয়ে আদেশ দেবেন আপিল বিভাগ।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর আজ বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত ৬ আগস্ট সোমবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন প্রদান করেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
এর আগে গত ১৭ জুলাই এ মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
ওই দিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ বলেছিলেন, এ মামলায় গত ১ জুলাই খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জামিনের আবেদনের শুনানির জন্য ৮ আগস্ট বহাল রাখেন কুমিল্লার আদালত। এর পর খালেদা জিয়া হাইকোর্টে এ মামলায় আবেদন করে জামিন চেয়েছেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এর আগে এ মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়া। যেটি এখন পেন্ডিং রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে ২০ দলীয় জোটের অবরোধের সময় চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রলবোমা ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। এতে আটজন যাত্রী দগ্ধ হয়ে মারা যান, আহত হন ২০ জন। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৭৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় খালেদা জিয়াসহ বিএনপির শীর্ষস্থানীয় ছয়জন নেতাকে হুকুমের আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে তিনজন মারা যান, পাঁচজনের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়। খালেদা জিয়াসহ অন্য ৬৯ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লা আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফিরোজ হোসেন। সূত্র: এনটিভি অনলাইন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস