বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে গতকাল সোমবার পাড়ি জমিয়েছেন কাতালোনিয়ার ‘ক্ষমতাচ্যুত’ নেতা কার্লোস পুজেমন। স্পেনের সরকারি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। স্পেনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা করায় নেতা কার্লোস পুজেমনকে সম্প্রতি ‘ক্ষমতাচ্যুত’ করে কেন্দ্রীয় সরকার।
কাতালোনিয়ার এক দৈনিক পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, স্পেন সরকারের এক সূত্র নিশ্চিত করেছে, কাতালান নেতা পুজেমন এখন ব্রাসেলসে। তাঁর সঙ্গে ব্রাসেলসে গেছেন তাঁর প্রশাসনের কর্মকর্তারাও।
এদিকে, স্পেনের প্রধান কৌঁসুলি হোসে ম্যানুয়েল মাজা গতকাল জানিয়েছেন, পুজেমনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ আনা হচ্ছে। এর মধ্যে স্পেন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের খেপিয়ে তোলা ও প্ররোচনার অভিযোগ রয়েছে। কাতালোনিয়াকে স্পেনের কেন্দ্রীয় শাসনের অধীনে আনার উদ্যোগ নেওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
এক বিবৃতিতে স্পেনের প্রধান কৌঁসুলি বলেছেন, প্রসিকিউটররা অভিযোগ গঠনের জন্য ন্যাশনাল কোর্টে আবেদন করেছেন। তিনি জানান, কাতালোনিয়ার আঞ্চলিক সরকারের প্রধান রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে।
স্পেন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করায় মাদ্রিদ গত শুক্রবার কার্লোস পুজেমনসহ কাতালান নেতাদের ক্ষমতাচ্যুত করে। স্পেনের প্রধান কৌঁসুলি গতকাল বলেন, কাতালোনিয়ার ক্ষমতাচ্যুত নেতারা রাষ্ট্রদ্রোহ, অর্থ আত্মসাৎ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়ে সন্দেহভাজন। এই অভিযোগ আমলে নেওয়া হবে কি না, তার সিদ্ধান্ত আদালতই নেবেন। স্পেনের আইনি ব্যবস্থায় বিচারক এসব বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেন। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে স্পেনে ৩০ বছরের সাজা হওয়ার বিধান আছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান কৌঁসুলি বলেন, কাতালান নেতা পুজেমন ‘অবৈধ’ গণভোটের মাধ্যমে তহবিলের অপব্যবহার করেছেন।
প্রসঙ্গত, গণভোটের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার কাতালান পার্লামেন্টে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হয়। এর পরপরই অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নিয়ে স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকার ২১ ডিসেম্বর আগাম নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে। যদিও কাতালান নেতা কার্লোস পুজেমন কেন্দ্রের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন না জানিয়ে মাদ্রিদকে গণতান্ত্রিকভাবে বিরোধিতা করার আহ্বান জানান।
কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণার পর কয়েক দশকের মধ্যে স্পেন সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে। প্রধান কৌঁসুলির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কাতালোনিয়ার নেতারা গত দুই বছরে তাঁদের সিদ্ধান্ত ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক সংকট তৈরি করেছেন। এর জের ধরেই ২৭ অক্টোবর স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। এতে স্পেনের সংবিধানের ঘোর লঙ্ঘন হয়।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস