বাংলা৭১নিউজ, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:‘এক-দুই ঘন্টা অফিস না করলে কোন ক্ষতি হয় না। আমি অসুস্থ, আরও দেড়-দুই ঘন্টা পর অফিসে যাবো। এক দুই ঘন্টার জন্য অফিস তলিয়ে যাবে না।’
সোমবার সকাল এগাারটায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা সমবায় কমর্কর্তা আমিনা পারভীন এভাবেই দম্ভ করে স্থানীয় এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় মুঠোফোনে কোথায় আছেন জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।
আগামী ১২ মে মির্জাপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ভোটার হিসেবে সমিতির প্রতিনিধি নির্বাচন বিষয়ে তাঁর কাছে বেলা ১১টার দিকে এ প্রতিনিধিসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা কথা বলতে যান। কিন্তু সে সময় তিনি তাঁর কার্যালয়ে না থাকায় মির্জাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম এরশাদ তাঁর মুঠোফোনে কল দেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে দম্ভ করে ওই কথাগুলো বলেন তিনি।
মুঠোফোনে কথা বলার সময় তাঁর কাছে অসুস্থতার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত সাদমীনকে জানিয়েছেন কিনা কিংবা ছুটি নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে পুনরায় উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘ইউএনওকে জানানোর কিছুই নাই। শরীর ভাল লাগলে অফিসে যাব।’
এর প্রায় দেড় ঘন্টা পর দুপুর সাড়ে ১২টায় পুনরায় তাঁর কার্যালয়ে যান সাংবাদিকরা। সেসময় তাঁকে না পেয়ে পুনরায় মুঠোফোনে কল দিয়ে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সমিতির প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রতিস্বাক্ষর সম্পর্কে ওই সাংবাদিক জানতে চাইলে তিনি কোন কথা না বলে সংযোগ কেটে দেন।
এদিকে তাঁর কার্যালয়ের অন্য একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি নিয়মিত অফিস করেননা। এজন্য নিয়মিত কাজেও তাঁদেরসহ সাধারণ মানুষকে ভুগতে হয়। দীর্ঘ ছয় বছর আগে আমেনা পারভীন মির্জাপুর যোগ দেন। এরপর থেকেই এ অবস্থা চলছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে আমিনা পারভীনের সঙ্গে এ প্রতিনিধি মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি ফোন ধরেননি।
ইউএনও ইসরাত সাদমীনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সমবায় কর্মকর্তা আমিনা পারভীনের অসুস্থতার বিষয়টি আমার জানা নেই। তাছাড়া আমিনা পারভীন ছুটিও নেননি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস