বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ঈদে ঘরমুখো যাত্রী নিয়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে কমলাপুর স্টেশন ছাড়ছে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন।
আজ শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৬টি ট্রেন কমলাপুর ছেড়ে গেছে, এর মধ্যে বেশি ভিড় দেখা গেছে দেওয়ানগঞ্জের পথের তিস্তা এক্সপ্রেস, রাজশাহীর ধূমকেতু, চিলাহাটির নীলসাগর এক্সপ্রেস এবং দেওয়ানগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে।
চট্টগ্রামের মহানগর প্রভাতীতেও ভিড় ছিল, তবে এই ট্রেনের ছাদে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী চড়তে দেখা যায়নি।
ট্রেনের ভেতরে জায়গা না পেয়ে নীলসাগর এক্সপ্রেসের দরজার পাশে দাঁড়িয়ে পার্বতীপুর রওনা হয়েছেন আলমগীর হোসেন নামের এক যাত্রী।
একজন যাত্রী বলেন, “টিকেট পাই নাই, এইভাবেই যেতে হবে। এত সময় দাঁড়িয়ে থাকা অনেক কষ্টের। কিন্তু কিছু করার নাই।”
এই ট্রেনের যাত্রী রেবেকা সুলতানা বলেন, কষ্ট হলেও বাড়ি পৌঁছালে তা আর মনে থাকবে না।
“একটা ঈদেই তো বাড়ি যেতে পারি। শ্বশুরবাড়ি, বাবারবাড়ি সব ওখানে। তাছাড়া আত্মীয়স্বজন আছে, ঈদে সবার সঙ্গে দেখা হয়। না গিয়ে উপায় কী… টান আছে না?”
রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকালের কয়েকটি ট্রেন দেরি করে ছেড়েছে। তিস্তা এক্সপ্রেস সকাল সাড়ে ৭টায় ছাড়ার কথা থাকলেও স্টেশন ছেড়ে গেছে সকাল পৌনে আটটায়। ৮টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা নীলসাগর এক্সপ্রেসের। ৩৫ মিনিট দেরিতে সেটি চিলাহাটির উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
সকাল ৯টায় রংপুর এক্সপ্রেসের কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সেটি স্টেশনেই আসেনি। অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে ছাড়বে রংপুর এক্সপ্রেস।
শুক্রবারও রংপুরের এই ট্রেন দুই ঘণ্টা দেরি করে ছেড়েছিল। আগের দিনের ধাক্কা শনিবারও সামলে ওঠা যায়নি।
কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ট্রেন ছাড়তে কিছুটা দেরি হচ্ছে। রংপুর এক্সপ্রেস গতকাল গেছে দেরিতে, এ কারণে আজ ঢাকায় ফিরতে দেরি হচ্ছে। নীলসাগর আধাঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে, তবে এটা কোনো বিষয় না। ঈদের সময় এরকম হয়। ১০-২০ মিনিট ধরার মত না।”
বাংলা৭১নিউজ/জেএস