বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এবার রাজ্যের বাইরেও নির্বাচনী প্রচারে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। শুরুটা করলেন আসামের ধুবুড়ি থেকে। এবার আসামে বেশ কয়েকটি জায়গায় প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের প্রার্থী, কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং অন্যান্য নেতাদের নিয়ে শুক্রবার সভা করেন মমতা ব্যানার্জি। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এনআরসি এবং সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ড বিল নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। বলেন, বিজিপিকে এবার উচিত শিক্ষা দেন।
এদিন তিনি বলেন, ‘তৃণমূলকে দুর্বল ভাবার কোনও কারণ নেই। আগামি দিনে আমরা আসাম জয় করব। আসামে একসঙ্গে যেদিন ৪০ লক্ষ লোকের নাম বাদ গেল, তখন আমার বুকে একটা ধাক্কা লেগেছিল। তখন কিন্তু আপনারা যাঁদের ভোট দিয়ে জেতান, তাঁরা কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। আমরা দাঁড়িয়েছিলাম। আমি দেখিনি আসামে আমার বিধায়ক, সাংসদ বা পঞ্চায়েতের কে আছে, আমি শুধু দেখেছি এখানে আমার মা–মাটি–মানুষ আছে। কিছুদিনের মধ্যেই প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছি। কিন্তু এখানকার প্রশাসন তাঁদের উপর অত্যাচার করে। আমার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়, যাতে আমি আসামে ঢুকতে না পারি।’
এরপরই প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কটাক্ষ করেন আসামের বিজেপি সরকারকেও। বলেন, ‘আপনাদের এক্সপায়েরি প্রাইমমিনিস্টার মোদিবাবু খালি এদিক–ওদিক ঘুরে বেড়ায় আর উল্টোপাল্টা বলে বেড়ায়। আর বিজেপি নির্বাচনের সময় হোক কিংবা সারা বছর হিন্দু–মুসলমান করে। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি দাবি করছে বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই। আর এখানে এনআরসি–র নামে ভোটারদের নাম বাদ দিয়েছে। ওই তালিকায় হিন্দু–মুসলিম ভোটারদের নাম বাদ গিয়েছে। আসামে বাঙালি হিন্দু–বাঙালি মুসলিম আলাদা করা হয়েছে। আপনারা এই ভোট ভাগাভাগি করতে দেবেন না। সিটিজেন অ্যামেন্ডমেন্ড বিলের মাধ্যমে উদ্বাস্তুদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। এটা আরেকটা চক্রান্ত।’
এরপর তিনি যোগ করেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসকে টাকা দিয়ে, ভয় দেখিয়ে, চমকে–ধমকে কেনা যায় না, জেলে ঢুকিয়েও কেনা যায় না। সারদা নিয়ে তো অনেক অভিযোগ আনছে বিজেপি। আসামের মন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? উনিও তো টাকা নিয়েছেন। সারদা কর্তা নিজে বলেছেন, তিনি আসামের মন্ত্রীকে টাকা দিয়েছেন। তৃণমূল সরকার বাংলায় ২ টাকা কিলো দরে চাল দেয়, বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেয়, আসাম সরকার কী করেছে? শুধু মুখে বড় বড় কথা।’
এরপর প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে মোদি বলেছিলেন আমি চাওয়ালা। আর এখন সেই চাওয়ালা চা বানাতেই ভুলে গেছেন। এখন বলছেন আমি চৌকাদার। আর চৌকিদারের নামে মিথ্যাচার করছেন।’
বাংলা৭১নিউজ/সূত্র:আজকাল অনলাইন