বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতাতে না পারলেও দেশের জন্য কম করেননি লিওনেল মেসি। তার একক নৈপুণ্যেই বাছাইপর্বের বৈতরণী পেরিয়ে ২০১৮ বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে জায়গা করে নিতে পেরেছে আর্জেন্টিনা।
শুধু এটুকুর জন্যই তাকে মাথায় করে রাখা উচিত দেশবাসীর। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টোটা। আর্জেন্টিনায় আবারও ভাংচুর হল মেসির মূর্তি! সময়ের সেরা ফুটবলারের ওপর এত ক্ষোভ কাদের? দুর্বৃত্তদের পরিচয় জানা যায়নি।
বুয়েনস আয়ার্সের নদী তীরে স্থাপিত মেসির মূর্তিটি রোববার ভাঙা পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো আক্রান্ত হল মূর্তিটি। গত জানুয়ারিতে মূর্তিটির কব্জি ভেঙে ফেলা হয়েছিল।
দ্রুত তা সংস্কার করে নগর কর্তৃপক্ষ। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তির পর এবার হয়তো মেসির মূর্তির জন্যও দেহরক্ষী নিয়োগ করতে হবে।
মেসির ভাই গ্রেফতার
দুর্ঘটনা ঘটেছে, লিওনেল মেসির ভাই ম্যাতিয়েস মেসির দাবি ছিল এমনটাই। তিনি জানিয়েছিলেন, নদীতে দুর্ঘটনার পর রক্তভরা নৌকা ফেলে এসেছেন। কিন্তু ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে নৌকার মধ্যে অবৈধ অস্ত্র পায় পুলিশ।
ফলে হাসপাতালেই গ্রেফতার করা হয় মেসির ভাইকে। চোয়াল ভেঙে মুখে কাটাছেঁড়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ম্যাতিয়েস। তার দাবি, আর্জেন্টিনার রোজারিওর কাছে পারানা নদীতে নৌকা চালানোর সময় দুর্ঘটনা ঘটে।
নৌকার মধ্যে রক্তের ছোপ দেখা যায়। ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে ‘কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে এসেছে সাপ’। নৌকায় পাওয়া গেছে অবৈধ অস্ত্র।
হাসপাতালে একটু সুস্থ হলে মেসির ভাইকে রিমান্ডে নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে আদালতে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আর্জেন্টিনার আইনে সাড়ে আট বছরের জেল হতে পারে ম্যাতিয়েসের।
এই অপরাধে সর্বনিন্ম শাস্তিই সাড়ে তিন বছরের জেল। ম্যাতিয়েসের আইনজীবী দাবি করেছেন, সৈকতে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটেছে। নৌকায় যে অস্ত্র পাওয়া গেছে, সেটা পুলিশ সাজিয়ে রাখতে পারে বলে সন্দেহ তার।
অবৈধ অস্ত্র বহনের অভিযোগে অবশ্য এর আগেও ম্যাতিয়েস মেসিকে আটক করেছিল আর্জেন্টিনার পুলিশ। ২০১৫ সালের অক্টোবরে ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকা ম্যাতিয়েসের গাড়ি তল্লাশি করে পয়েন্ট ২২-ক্যালিবার পিস্তল খুঁজে পায় পুলিশ, যার লাইসেন্স ছিল না।
এর আগে ২০০৮ সালের অক্টোবরে আরও একবার গ্রেফতার হয়েছিলেন ম্যাতিয়েস। সেবার তার কোমরে একটি হ্যান্ডগান পাওয়া গিয়েছিল। ওয়েবসাইট।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস