রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
টানা ৮ দফা কমার পর ফের বাড়লো সোনার দাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সরকারের পাতানো ফাঁদ: আব্বাস আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২ ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ এবি ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা রূপালী ব্যাংকের ঢাকা উত্তর বিভাগীয় ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত রোববার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা স্বাধীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে সমাবেশের ডাক ছাত্রলীগের ৮ মের উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি ফের বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো মিয়ানমারের ৪০ বিজিপি সদস্য ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ মৌলভীবাজারে পুলিশের বাধায় ছাত্রদলের মিছিল পণ্ড প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৭ পদ্মা-মেঘনায় মিলছে না ইলিশ, হতাশ জেলেরা ‘উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব খাটালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ উত্তরায় লেক থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো : মস্কো খিলগাঁওয়ে রিকশাচালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ১৪ দিন পর ডেঙ্গুতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হাসপাতালের ভবনের ফাঁক দিয়ে পড়ে রোগীর মৃত্যু রোববার থেকে আপিল বিভাগের দুটি বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ

আপনারা পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় দাঁড়িয়ে যান, দেশ আবার স্বাধীন হয়ে যাবে: ড. কামাল

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৮
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: জাতীয় ঐক্যের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘আপনারা পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায়, জেলায় জেলায় দাঁড়িয়ে যান। দেশ আবার স্বাধীন হবে। জনগণ আবার তাদের মালিকানা ফেরত পাবে।’

তিনি বলেন, ‘এ দেশে কোনো রাজতন্ত্র নেই। এ দেশ কোনো মহারাজা-মহারানির নয়। ১৬ কোটি জনগণের এ দেশে সরকারি দলের জন্য এক আইন আর বিরোধীদের জন্য অন্য আইন, এমনটা চলতে পারে না।’

মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. কামাল বলেন, ‘দেশের মালিক জনগণকে দাঁড়াতে হবে। শক্ত ভাবে দাঁড়াতে হবে। আপনারা পায়ে হেটে এসে যেভাবে এখানে দাঁড়িয়েছেন সেভাবে জেলায় জেলায় দাঁড়াতে হবে। আপনারা দেশের মালিক, আপনাদের দাঁড়াতেই হবে। দেশের মালিককে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে সেটা একটা স্বাধীন দেশে হতে পরে না।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি দাবি করে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিন। অন্যথায় আপনাদের কঠিন জবাব দিতে হবে।’

ড. কামাল বলেন, ‘এ দেশে যা হচ্ছে তা মেনে নেওয়া যায় না। যখন তখন যাকে তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’তিনি বলেন, আমি আজকের জনসভা থেকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছি। তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।’

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘যখন তখন যাকে তাকে গ্রেপ্তার করবেন? স্বাধীন দেশে এটা চলতে পারে না। আর ভোটার বিহীন সরকার তো আরো পারে না। নির্বাচিত সরকার হলেও এটি পারে না। এটি সংবিধান সম্মত নয়।’

সরকারের উদ্দেশে ড. কামাল বলেন, ‘রাস্তাঘাট বন্ধ করে, বাস লঞ্চ বন্ধ করে জনগণকে নিষ্ক্রিয় করা যাবে না। আজকের জনসভা তারই প্রমাণ। জনগণ তাদের দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ। মনে রাখবেন ইতিহাস প্রমাণ কোনো বাধা বিপত্তি এ দেশের জনগণ কখনো মেনে নেয়নি।’

ড. কামাল আরো বলেন, ‘আমাদের সবাইকে ভোট কেন্দ্রের পাহারাদার হতে হবে। ভোটের পাহারাদার হলে স্বাধীনতার পাহারাদার হওয়া যাবে। রাষ্ট্রের মালিক হিসেবে এটা আমাদের অধিকার।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া জনগণের দাবি আদায় সম্ভব হবে না। সবাই এক থাকলে আমাদের অধিকার আদায় হবেই। আমরা দেশের জনগণকে মুক্ত গণতন্ত্র দিব।’

সরকারের উদ্দেশে ড. কামাল বলেন, ‘তিন মাসের কথা বলে ভোট ছাড়াই পাঁচ বছর কাটিয়ে দিলেন। এটা ভাবতে অবাক লাগে। জনগণ জেগে উঠেছে- এবার ভোটের অধিকার নিশ্চিত হবেই হবে। গত পাঁচ বছরে প্রমাণ হয়েছে- সরকারের কথার এক পয়সারও দাম নেই।’

সমাবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আজকের এ সমাবেশে যাতে লোকজন আসতে না পারে সেজন্যই সরকার বাস, লঞ্চ বন্ধ করাসহ সব জায়গায় ব্যারিকেড তৈরি করেছে। পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে সমাবেশে আগত লোকদের হয়রানি করেছে। এরপরও হেঁটে লোকজন আজকের এ সমাবেশে উপস্থিত হয়ে প্রমাণ করেছে সরকারের প্রতি দেশের মানুষের বিন্দুমাত্র আস্থা নেই।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, সমঝোতায় সঙ্কটের নিরসন না হলে আন্দোলনের কোনো বিকল্প থাকবে না।

তিনি আরো বলেন, সরকার একদিকে সংলাপ করছে, অন্যদিকে গণগ্রেপ্তার করছে। প্যারোলে নয়, আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আর কয়টা দিন আন্দোলন করবো, অপেক্ষা করুন সরকারকে জায়গা মতো পাঠিয়ে দিবো। সময় আমাদেরও নাই সরকারেরও নাই।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দেশে অত্যাচার, অনাচার, খুন-গুম, ডাকাতি সব পরিপূর্ণ করেছে সরকার। এসব থামাতে হবে। অন্ধকার রাতে আর কোনো গ্রেফতার হতে দেয়া হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতা চাই না। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছি না। আন্দোলন করছি মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে।’

একই জনসভায় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান বলেন, ২য় দফা সংলাপে মুখের কথা নয়, প্রধানমন্ত্রী লিখিত অঙ্গিকার করতে হবে। আর সংসদ রেখে এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ‘যখন কোনো স্বৈরাচার সরকার প্রতিপক্ষের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় তখন বুঝতে হবে আমরা জয়ের মুখোমুখি।’

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আদায়ের আন্দোলনে আমরা জয়ের মুখোমুখি। সেই লক্ষণ আমরা দেখতে পাচ্ছি। সরকার দূর্বল হচ্ছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি প্রতিষ্ঠিত হবে এবং জয়লাভ করবে।’

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেখানে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম জিয়ার নেতৃত্ব দেয়ার কথা সেখানে তিনি মিথ্যা মামলায় কারাগারে রয়েছে। অবিলম্বে তাঁর মুক্তির দাবি করছি।’

সরকার ২য় দফা সংলাপে ব্যর্থ হলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সর্বশক্তি দিয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে বলে হুঁশিয়ারি করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আমাদের সংলাপ ও আন্দোলন একসাথে চলবে।সরকার সংলাপে ব্যর্থ হলে সর্বশক্তি দিয়ে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।’

জনসভাকে কেন্দ্র করে সরকার সমস্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিয়েছে অভিযোগ করে আলাল বলেন, ‘অনেক সময় গড়িয়ে গেছে, ১০ বছর চলে গেছে, নির্বাচনও ঘনিয়ে এসেছে তবুও সরকার এই জনসভাকে কেন্দ্র করে বাস, ট্রাকসহ সমস্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিয়েছে, তারপরও জনসভার এই জনসমুদ্র প্রমাণ করে এই সরকারের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই।’

নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। তাছাড়াও দেশে কোন অর্থবহ নির্বাচন হবে না, জনগণও মেনে নেবে না।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরেরর সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরীর এ্যানীর সঞ্চালনায় জনসভায় গণফোরাম সভাপতি ড.কামাল হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, আলতাব হোসেন, বেগম সেলিমা রহমান, মো. শাজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক,হা বিবুর রহমান হাবিব, ড. সুকোমল বড়ুয়া, আব্দুল আব্দুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, এমরান সালেহ প্রিন্স, শ্যামা ওবায়েদ প্রমুখ উপস্থিত আছেন।

এছাড়াও উপস্থিত আছেন বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম, তকদির হোসেন মো. জসিম, আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, কামরুদ্দিন এহিয়া খান মজলিস, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান, সহ-সভাপতি আলমগীর হাসান সোহান, নাজমুল হাসান, জহুরুল ইসলাম বিপ্লব, সহ-সাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ।

বাংলা৭১নিউজ/এসএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com