বাংলা৭১নিউজ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের খোয়ার গ্রামের সোমবার সন্ধ্যায় আওয়ালীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে নিরিহ কৃষক শাখাওয়াত মাতুব্বর নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়। আহত হয় প্রায় ২৫ জন। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত হাসিনা বেগম ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই হামলা-ভাংচুর-লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে আনিস মেম্বারের বাড়ি, আসাদ মৃধা, আরফিন মৃধা, আব্দুল হাই, করিম মাতুব্বর, সাগর মাতুব্বর, দুলাল মাতুব্বর, হেলাল মাতুব্বর, সোহেল, পিকুল মোল্লা, নাসের মোল্লার বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুট করা হয়।
আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে একটি গ্রুপকে নেতৃত্ব দেন গট্টি ইউনিয়নের বাদশা মিয়া, অপর গ্রুপটির নেতৃত্ব দেন একই ইউনিয়নের ওদুদ । এলাকাবাসীরা আরো জানান, খোয়ার গ্রামের পুরো নেতৃত্ব নিজ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ওদুদ মাঝে মধ্যেই এই ধরণের হামলা, লুটতরাজের ঘটনা ঘটায়। সম্প্রতিক একই ইউনিয়নের গৌরদিয়া গ্রামে বিপ্লব মাতুব্বরসহ ২০টি বাড়িতে এ ধরণের ঘটনা ঘটেছিল। ওদুদের ভয়ে পুরো খোয়ার গ্রামের কোনো পুরুষ লোক বাড়িতে নেই। এলাকাটি এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় আবার হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামাল পাশা জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমি খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আটঘর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সোহাগ খান জানান, খোয়ার গ্রামের ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনাটি ওদুদের নেতৃত্বেই হয়েছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে ওদুদ জানান, এই সংঘর্ষের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমার বাড়ি গট্টি ইউনিয়নে। যারা আমার কথা বলছে এ সবই মিথ্যচার। খোয়ার গ্রামের লোকজন ও এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান সোহাগ খান ও বাদশা মিয়া গ্রুপের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
বাদশা মিয়া বলেন, এই ঘটনার সাথে আমি যুক্ত নই। এই হামলা লুটতরাজের ঘটনা ওদুদ ও ওদুদের লোকজনই করেছে, তা এলাকার সকলেই জানে। সে আমার নামে মিথ্যাচার চালাচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস