বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: পাশের ব্যক্তি হাই তুলছেন দেখলে আমরাও হাই তুলি। এটা খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। কখনো লক্ষ্য করছেন বা ভেবেছেন কেন এমনটা হয়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা এক ধরনের সোশাল বিহেভিয়ার। আমাদের শরীরে মিরর নিউরোনের কারণেই হয় এই দেখাদেখি হাই তোলা। সামাজিকভাবে দলবদ্ধ আচরণ করতে মানুষ ভালোবাসে।
বিশিষ্ট নিউরো চিকিৎসক রবীন্দ্র জৈন বলেন, কোনো নারী বা শিশুকে মারলে আপনিও ব্যথা অনুভব করেন। শারীরিকভাবে না হলেও মানসিকভাবে। এটা সমব্যথী বিহেভিয়ার। তিনি বলেন, শিম্পাঞ্জির ওপর জুরিখে গবেষণা করা হয়েছিল। ওদের হাই তোলার ভিডিও দেখানো হয়েছিল। পাঁচ-ছয়জন বসে হাই তুলছে। এটা মিররিং বিয়েভিয়ার। ওরাও ওই ভিডিও দেখে হাই তুলেছে।
এটা হওয়ার মূল কারণ, আমরা সবসময় দলগতভাবে চিন্তা ভাবনা করে কাজ করি।
আগের দিনে কয়েকজন মিলে একসঙ্গে শিকার করতে যেত। এজন্য রাতে একসঙ্গে খেয়ে ঘুমাতো। ভোরবলোয় একসঙ্গে উঠতো।
এভাবেই আমরা প্রায় সব কাজই কাছাকাছি সময়ে করে থাকি। দেখাদেখি হাই তোলাটাও এমনই একটি অভ্যাস।
হাই তোলার সময় অবশ্যই মুখের সামনে টিস্যু, রুমাল বা হাত দিয়ে রাখবেন।
বাংলা৭১নিউজ/এইচএম