বাংলা৭১নিউজ, শামছুর রহমান শিশির, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : আর্তমানবতার মূর্ত প্রতীক সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের সাংবাদিক মামুন বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে অান্তর্জাতিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারণার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে সেই অর্থ দেশের চির অবহেলিত, চির পতিত, চির অপাংক্তেয়,অসহায় জনগণ, যাদের বুক ফাটলেও মুখ ফোটে না; যাদের বিচারের বাণী অন্ধকারে নিরবে নিভৃতে কাঁদছে; তাদের অন্ধকার কুটিরে আলো জ্বেলে হাঁসির শিখা ছড়িয়ে দিচ্ছেন একের পর এক।
এ পর্যন্ত সাংবাদিক মামুন বিশ্বাস ফেসবুকের মাধ্যমে দেশ বিদেশের সুহৃদদের কাছ থেকে অার্তমানবতার কল্যাণে অর্থ সংগ্রহ করে সেই অর্থ দিয়ে অসহায়, প্রতিবন্ধী, মুমূর্ষু অক্ষম, অচল প্রায় আড়াই শতাধিক ক্ষুধার্ত’র মুখে অন্ন তুলে দিয়ে, বস্ত্রহীনকে বস্ত্রের আবেশে জড়িয়ে, গৃহহীনকে ঘর তুলে দিয়ে, কর্মহীনকে কর্মের সংস্থান করে, মুমূর্ষ ও জটিল রোগীদের চিকিৎসার সুব্যবস্থা করে রীতিমতো মানবতার মহান দৃষ্টান্ত একের পর এক স্থাপন করে চলেছেন। সেই মানবিক কাজের ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার বিকেলে শাহজাদপুর ভূমি অফিস চত্বরে দৃষ্টি ও শারীরীক প্রতিবন্ধী শিশু আদুরির চিকিৎসা ও ভরণ পোষণের জন্য তার পালিত পিতা রাজ্জাকের হাতে নগদ ৩১ হাজার ৫’শ টাকা ও হাইড্রলিক খাট তুলে ও বুঝিয়ে দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ হাসিব সরকার। প্রতিবন্ধী শিশুটির পালিত পিতা রাজ্জাককে দেয়া হয় একটি জ্যাকেট। সেইসাথে শিশুটির ভরণপোষণে প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা প্রদানের কথা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ম্যাডাম নিশ্চিত করেছেন। এ সময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিকতা ও সামাজিক উন্নয়ন ফোরামের সহ-সভাপতি সাংবাদিক আল আমিন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক ওমর ফারুক, যুগ্ম-সম্পাদক সাংবাদিক মামুন রানা,যুগ্ম-সম্পাদক সাংবাদিক শামছুর রহমান শিশির ও সাংগঠনিক সম্পাদক, আর্তমানবতা সেবকের রোল মডেল সাংবাদিক মামুন বিশ্বাস।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেগেছে,গত ১৯ নভেম্বর রোববার বিকেলে প্রায় ৫ বছর বয়সী ওই বুদ্ধি ও শারীরীক প্রতিবন্ধী শিশুকে তার নিষ্ঠুর বাবা, মা শাহজাদপুরের দরগাহপাড়াস্থ হযরত মখদুম শাহদৌলা শহিদ ইয়ামেনি (রহ:) এর মাজারের পূর্বপাশে ফেলে রেখে যায়। শিশুটি সেখানে অঝোড়ে কাঁদতে থাকলে দরগাহপাড়ার গ্রাম পুলিশ আব্দুর রাজ্জাক শিশুটিকে বাড়ীতে নিয়ে যায়। রাজ্জাক ও তার স্ত্রী মেয়েটির নাম দেন আদুরি। ওই বাড়ীতে প্রতিপালিত থাকাবস্থায় আদুরি খাট থেকে পড়ে যাওয়ায় শিশুটির পা ভেঙ্গে যায়। প্রথমে সাংবাদিক মামুন রানা স্থানীয়ভাবে ও পরে শিশুটির চিকিৎসাসেবায় নিজেকে সম্পৃক্ত করে সাংবাদিক মামুন বিশ্বাস অসহায় শিশু আদুরীর ছবিসমেত তার ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার ৩ দিনে যে অর্থ সংগৃহিত হয়েছে তা শিশুটির পালিত পিতার হাতে অবশেষে তুলে দেয়া হলো।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস