বাংলা৭১নিউজ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: অনিয়মতান্ত্রিক স্কুল পরিচালনার জন্য তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে জেলা প্রশাসক বরাবর সানরাইজ স্কুলের প্রায় ২ শতাধিক অভিভাবকবৃন্দের স্বাক্ষরিত অভিযোগ ফরিদপুর জেলা প্রশাসক এর নিকট প্রদান করা হয়।
তাদের লিখিত অভিযোগপত্রে জানা যায় ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলি মহল্লায় অবস্থিত সানরাইজ স্কুলটি দীর্ঘদিন যাবৎ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। অনিয়মগুলির মধ্যে সরকারি পাঠ্য বই ছাড়াও স্কুল কর্তৃক নির্ধারিত বই নির্দিষ্ট লাইব্রেরী হতে উচ্চ দামে ক্রয় করতে বাধ্য করা, অতিরিক্ত ক্লাস করানোর নামে কোচিং বাণিজ্য, স্কুল চলাকালীন সময়ে এসেম্বিলি না করানো, ইচ্ছে মাফিক স্কুল ড্রেস পরিবর্তন ও স্কুল থেকে কিনতে বাধ্য করা, মাসিক বেতন ও সেশন চার্জ ইচ্ছে অনুযায়ী বৃদ্ধি করা।
উপরোক্ত অনিয়ম সমূহ নিয়ে অভিভাবকবৃন্দ জেলা প্রশাসকের নিকট গিয়ে অভিভাবকবৃন্দ আরো জানান, সানরাইজের অধ্যক্ষের সহিত কোন বিষয় আলোচনা করতে গেলে বিষয়গুলি তিনি কর্নপাত করেন না। বরং অভিভাবকবৃন্দর সাথে সে অসৌজন্যমুলক আচরন করেন। অভিভাবকবৃন্দ এহেন নির্যাতন নিপিড়ন থেকে উত্তোরণ চায় ও তীব্র প্রতিবাদ জানায়। তারা জেলা প্রশাসকের নিকট সানরাইজ স্কুলের অনিয়মের বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানায়।
বিষয়টির যথাযথ সুরাহা করার জন্য জেলা প্রশাসক অভিভাবকদেরকে আশ্বস্ত করেন। উল্লেখ্য জেলা প্রশাসক বলেন কমিটি ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা যায়না। তাই সানরাইজ স্কুল সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি থাকা দরকার বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। এছাড়াও অভিভাবকবৃন্দ জানান, কোচিং বাণিজ্য এবং ভর্তিসহ নানাবিধ ফি অতিরিক্ত যা বাংলাদেশের অন্য কোন স্কুলে নেই।
যেমন-এ স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি ৪ হাজার টাকা, সেশন ফি-২ হাজার টাকা, ড্রইং ভর্তি ৭শত টাকা, কোচিং ফি মাসিক ৯শত টাকা, ড্রইং ফি প্রতিমাসে ৩৫০ টাকা, গাড়ি ভাড়া ১ হাজার টাকা, ব্যাগ, জুতা, স্কুল ড্রেস ও ড্রইং টেবিল বাধ্যতামূলক সানরাইজের নিজস্ব দোকান থেকে কিনতে হয়।
দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে গুনতে হয় মাসে ১১ হাজার টাকা। এ শিক্ষা বাণিজ্য থেকে পরিত্রাণ ও প্রতিকার চায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ। স্কুলটি শুরু করার সময় নাম ছিল সানরাইজ কোচিং সেন্টার।
এবিষয়ে সানরাইজের অধ্যক্ষের সাথে মোবাইলে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস