বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: ঈদের অবকাশ কাটাতে দুবাইতে পরিবার নিয়ে বেড়াতে গেছেন গার্মেন্ট ব্যবসায়ী ও অভিনেতা অনন্ত জলিল।
দুবাইয়ের বুর্জ আল আরব হোটেলে অবস্থানকালে ৭ সেপ্টেম্বর ১৪টি ছবি তিনি ফেসবুকে আপলোড করেন। এসব ছবিতে তাকে ছাড়াও স্ত্রী চিত্রনায়িকা বর্ষা ও তার সন্তানকে দেখা যায়।
এই ছবিগুলোতে দেখা গেছে, তিনি টি-শার্ট, গেঞ্জির ওপর ব্লেজার পরে আছেন। তবে তিনটি ছবিতে পাগড়ি ও আলখেল্লা পরিহিত রয়েছেন। আর তিনটি ছবি তার স্ত্রীর।
এসব ছবি আপলোড হওয়ার পরেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তার ভক্তরা। ছবির নিচে কমেন্ট করেছেন কেউ কেউ। বলেছেন, অনন্ত জলিল কিছুদিন আগে তাবলীগ জামাতে যোগ দিয়েছেন, ইসলাম প্রচারের কথা বলেছেন, কিন্তু এখন তিনি এসব কি ছবি দিয়েছেন।
তবে অনেক ভক্ত তাকে সমর্থনও করে গেছেন।
মাহমুদুল হাসান তারিক নামে এক ভক্ত লিখেছেন, জলিল ভাই আপনি দুর্ভাগা। হেদায়েতপ্রাপ্ত হয়েও আপনি হেদায়েত সরায়ে দিলেন। তবে আল্লাহই আপনার ব্যাপারে ভালো জানেন।
মিছবাউল হক লিখেছেন, এত অনেক বড় ভণ্ড। জায়গায় জায়গায় লেবাস চেঞ্জ করে। কিছুদিন আলখেল্লা, আবার কিছুদিন টাইট ফিট জামা পরে।
রেজওয়ান রাজিবের মন্তব্য, ইসলাম মানলে ভালোভাবে মানেন নইলে মাইনেন না। স্ত্রীকে পর্দানশীন বানান।
তবে অনেকে ভক্ত তাকে সমর্থন করে মন্তব্য করেছেন।
কবির আহমেদ মাধব মন্তব্য করেছেন, এমন কোনো হাদিস-দলিল বা কোরআনের আয়াত দেখান, যেটায় বলা আছে ইসলাম পালন করতে হলে পাগড়ি, আলখাল্লা লাগবে! আর শার্ট,প্যান্ট পরাও যে নিষেধ সেটাও দেখান!
ধ্রুব রাহাত লিখেছেন, ‘একটা মানুষ নামাজ পরলে তার আর অন্য কোনো পোশাক পরার অধিকার থাকবে না, বাহ্। পোশাক না দেখে, সে নামাজ ঠিক রেখেছে কিনা সেটা দেখা উচিত। উনি তো তবু কিছু করার চেষ্টা করছেন আমরা কি করছি।’
তার ছবি নিয়ে বিতর্কের কারণ গত দেড় মাসের বেশি সময় ধরে পাগড়ি-আলখেল্লা ছাড়া অনন্ত জলিলে কোনো ছবি দেখা যায়নি।
কিন্তু দুবাইতে গিয়ে তিনি যে ছবি পোস্ট করেছেন, তাতে পাগড়ি ও আলখেল্লা নেই।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস