রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দুই নারী কর্মকর্তাকে কুপিয়ে সোনালী ব্যাংকের ৭ লাখ টাকা ছিনতাই বাংলাদেশ সফরে আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আইনের শাসনের বিকল্প নেই ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি ঢাকায় গ্রেফতার প্রাণী রক্ষায় আরও মানবিক হতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা রূপালী ব্যাংকে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালন শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ৩৮৪তম সভা অনুষ্ঠিত সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার মারা গেছেন রেললাইনে উঠে গেছে তিস্তার পানি, দুর্ভোগ চরমে: লালমনিরহাট ধর্ষণ মামলায় আসামি হলেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ টি-টোয়েন্টিতে নতুন মুখ ২টি, ফিরলেন মিরাজ চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগে আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাত সমবায় ব্যাংকের লকার থেকে ১২ হাজার ভরি সোনা গায়েব গত ২৪ ঘণ্টায় বছরের সর্বোচ্চ ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৮ নেতানিয়াহুর ওপর হামলা, ইসরাইলজুড়ে বিমান পরিবহন বন্ধ ঘোষণা ৪০ লাখ শ্রমিক পাবে টিসিবির পণ্য, ১ অক্টোবর থেকে বিতরণ তারুণ্যের সামনে স্বৈরাচারের দানবীয় শক্তি খড়কুটোর মত ভেসে যায়: জিএম কাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন উপদেষ্টা আসিফ পলিথিন বর্জনের কার্যক্রম ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে আমরা আগস্ট বিপ্লবের প্রতিফলন দেখতে চাই: মেজর হাফিজ

৯৩ হাজার টাকার চেককে ৫ লাখ ৯৩ হাজার লিখলেন প্রধান শিক্ষক

রাজশাহী প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৪৯ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীতে কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের চেক জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১ অক্টোবর) দুপুরে অগ্রণী ব্যাংকের কেশরহাট বাজার শাখায় টাকা উত্তোলনের এ জালিয়াতি ধরা পড়ে।

এ বিষয়ে কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি রুস্তম আলী প্রামানিক বলেন, প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম তার দোকানের এক কর্মচারীকে টাকা উত্তোলনের জন্য রোববার দুপুরে ব্যাংকে পাঠান। এরপর ব্যাংক থেকে আমাকে ফোন করে নিশ্চিত হওয়ার জন্য।

ব্যাংক থেকে আমাকে জানানো হয় আমার ও প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি ৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। আমি জানাই শুধু ৯৩ হাজার টাকার চেক স্বাক্ষর করেছি। এর পরই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেই চেক আটকে দেয়। দ্রুত আমি ব্যাংকে যাই। আমি তাৎক্ষণিক প্রধান শিক্ষককেও ব্যাংকে আসতে বলি।

সভাপতি আরও বলেন, আমি জানতাম ব্যাংকে মোট ৯৪ হাজার টাকা আছে। তবে ছুটির মধ্যে ব্যাংকে আরও ৫ লাখ টাকা অনুদান জমা হয়েছে। এ টাকা সরাতেই প্রধান শিক্ষক এভাবে চেক জালিয়াতি করতে চেয়েছিলেন। এ বিষয়ে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেবো। আপাতত সেই চেকটি ব্যাংকেই ম্যানেজারের কাছে আছে। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক ক্ষমাও চেয়েছেন। তবে আমি ক্ষমা করবো না। আমি মামলা করবো।

এদিকে স্কুলের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ব্যাংকে উপস্থিত হলে দু’পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষককে ঘুসিও মারেন সভাপতি। পরে উপস্থিত লোকজন তাদের শান্ত করেন।

প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, একটি অনুদান এসেছে। এক চেকেই উত্তোলনের জন্য আমি পাঠিয়েছিলাম। তবে আমি সব জায়গায় কাগজে কলমে ৫ লাখ ৯৩ হাজার লিখেছি এবং সভাপতি স্বাক্ষরও করেছেন। এখন তিনি অস্বীকার করছেন। এখানে আমার কোনো দোষ নেই। আমি কোনো চেক জালিয়াতি করিনি। এমনকি কোনো চেক জালিয়াতি হয়নি।

আগ্রণী ব্যাংক কেশরহাট শাখার ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান খান বলেন, চেকটির মুড়িতে ৯৩ হাজার টাকা লিখা আছে। তবে মেইন চেকে ৫ লাখ ৯৩ হাজার লিখা দেখে আমাদের সন্দেহ হলে আমরা তাকে ফোন দেই।

দুই পক্ষ আসার পর থেকেই আমরা এটি নিয়ে সমাধানের জন্য বলেছি। আমরাও একটি চিঠি দিয়েছি। তবে সমাধান না হাওয়া পর্যন্ত সবাই চেকটি আমাদের হেফাজতেই রাখতে বলেছেন। এজন্য চেকটি আমাদের হেফাজতেই রাখা হয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com