শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরালো করার বার্তা যুক্তরাষ্ট্রের গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪৯ ফ্যাসিবাদ রাজপথে পরাজিত হয়ে এখন অনলাইনে শক্তি দেখাচ্ছে : তথ্য উপদেষ্টা গাজার অবস্থা জাপানে পারমাণবিক বোমার হামলার মতোই এ বছর ভালোভাবে পূজা উদযাপন হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিয়ে করলেন হাসনাত আবদুল্লাহ, জানালেন সারজিস ছিনতাই-চাঁদাবাজি প্রতিরোধে শুরু হচ্ছে সাঁড়াশি অভিযান: আইজিপি ৫৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি, বিক্রির টাকায় এফডিআর করেন গৃহকর্মী বিএনপি নেতা রবিকে ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান গোপালগঞ্জে স্কুলশিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১ ইউক্রেনের আরও দুুটি গ্রাম রাশিয়ার দখলে নোয়াখালীতে ৫ আগস্ট পুলিশ হত্যায় তিন আসামি গ্রেফতার আখাউড়া সীমান্তে দুই ভারতীয় নাগরিক আটক ভারতে দুই ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ, ১২ বগি লাইনচ্যুত মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু সাত অঞ্চলের ওপর দিয়ে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস পিরোজপুরে মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ কর্মী আটক ২০২৯ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি পেলো গ্রামীণ ব্যাংক এইচএসসির ফল ঘোষণা করবেন বোর্ড চেয়ারম্যানরা, জানা যাবে যেভাবে ‘মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করার অসুরকে প্রতিহত করতে হবে’

৯০ ভাগ নদীগর্ভে, বাকিটা পানির নিচে! তবুও নির্বাচন

ভোলা প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

ইউনিয়নের ৯০ শতাংশ জমিই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অবশিষ্ট জায়গায়ও নেই মানুষের বসবাস। কারণ, জোয়ারের পানিতেই তলিয়ে যায় ইউনিয়নের অস্তিত্ব। খাতা কলমেই ইউনিয়ন।

একটি মহিষের বাতান (মহিষ রাখার উঁচু স্থান) ও দুই চারটি মাছের আড়ৎ ছাড়া কিছুই নেই। কিন্তু ওই ইউনিয়নে নির্বাচন হবে আগামী ১৫ জুন। কে ভোট দিবেন, কিভাবে ভোট দিবেন তা জানে না অনেকেই।

ভোলায় দৌলতখানে উপজেলার মূলভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হাজীপুর ইউনিয়ন এটি। ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৪৩৩। তবে বসত নেই কারোরই। স্থায়ীভাবে ভোটারদের বসতি না থাকলেও নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন অনেকে। তাঁরা নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে ঘুরে।

উপজেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য মতে, হাজীপুর ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৪৩৩ জন। এদের মধ্যে এক হাজার ৭৪৬ জন পুরুষ ও এক হাজার ৬৮৭ জন নারী ভোটার। চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল এ ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। নির্বাচনে এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দুজন, সাধারণ সদস্য পদে ২৩ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ইউনিয়নটির অস্তিত্ব না থাকায় দৌলতখান পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দৌলতখান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেই ইউনিয়নটির ৯টি ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হবে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত তালিকায় এই বিদ্যালয় কেন্দ্রটিই স্থায়ী কেন্দ্র হিসেবে দেখানো হয়েছে। সেখানে অস্থায়ী কেন্দ্রের কথা উল্লেখ নেই।

সরেজমিন দৌলতখান উপজেলায় গিয়ে দেখা যায়, হাজীপুর ইউনিয়নের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দৌলতখান পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পোস্টারে ছেয়ে গেছে। শুধু তাই নয়,পার্শ্ববর্তী ভবানীপুর, চর খলিফা ও সৈয়দপুর ইউনয়নেও পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। প্রার্থীরা এসব ইউনিয়নে পোস্টারিং করেছেন। ভোটের জন্য প্রার্থীরা ছুটছেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বসবাস করা ভোটারদের কাছে।

চরখলিফা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. শরীফ বলেন, হাজীপুর ইউনিয়নটি মেঘনা নদীর মাঝখানে। যার কোন অস্তিত্ব নেই। নেই কোনো বসতিও। যে কারণে পৌরসভাসহ আশপাশের ইউনিয়ন গুলোতে প্রার্থীরা পোস্টার লাগিয়েছে প্রার্থীরা। ওই ইউনিয়নের অনেক ভোটার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে গেছে।

নির্বাচনে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী (আনারস প্রতীক) মো. আবি আবদুল্যাহ কিরন পাটোয়ারী ইউনিয়নটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের সুবিধার জন্য আবেদন করে পৌরসভার মধ্যে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করেছি।

অপরদিকে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. হামিদুর রহমান টিপু বলেন, ‘এখন ভোটাররা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় আমাদের কষ্ট বেশি হচ্ছে। ইউনিয়নের কিছুটা অংশ এখনও আছে। ‘ সেটা ডুবোচর কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

দৌলতখান উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা নির্বাচনের বিষয়টি ঠিক করেছেন। আমাদের কাজ হলো নির্বাচন পরিচালনা করা। আমরা তাই করছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা করা দরকার আমরা তাই করবো। ‘ 

দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইএনও) মো. তারেক হাওলাদার বলেন, ২০১১ সালের জনশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন বিলুপ্ত বা নেই এর কোনো অফিসিয়াল অর্ডার নেই। বিবিএস পরিসংখানে ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত আমরা বিলুপ্ত বলতে পারি না। আর ভোটের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত। জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা সরেজমিন দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা পুরোপুরি তাদের বিষয়।  

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সেয়দ শফিকুল হক বলেন, চরে বর্ষার সময় কোনো মানুষ থাকে না। সবাই মূলভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থানে বা এলাকায় থাকে। এ ছাড়া চরে ২-১টি মহিষের টিলা, মাছের আড়ত আছে তাই সেখানে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা নির্বাচনে দ্বায়িত্ব প্রাপ্তরা গিয়ে সেখানে থাকতে পারবে না। আমরা সকল কিছু দেখে কমিশনের কাছে মূলভূখণ্ডে নির্বাচন করার অনুমতি চেয়েছি এবং কমিশন অনুমতি দিয়েছে। তাই পৌরসভার একটি সরকারি বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ করা হবে।

দুটি মহিষের ঘর আর মাছের আড়ৎ নিয়ে একটি ইউনিয়ন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছে। তাদের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা নির্বাচন করব। তারা বন্ধ করে দিলে আমরাও করব না।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com