রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
গাজায় মসজিদ-স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ২৪ আন্দোলনে আহতদের দেখতে শেখ হাসিনা বার্নে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা পাকিস্তানে বন্দুকযুদ্ধে ৬ সেনা ও ৮ বিদ্রোহী নিহত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই বন্ধুর মৃত্যু নেত্রকোণায় ১৫ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৯২৭ বিমানবন্দরে মধ্যপ্রাচ্যগামীদের জন্য হচ্ছে ‘স্পেশাল লাউঞ্জ’ ‘হেলমেট বাহিনীর’ সদস্য মনিরুল অস্ত্রসহ গ্রেফতার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ গ্রেফতার ‘সাধারণ মানুষ যাতে ইলিশ খেতে পারে, সেই চেষ্টা করতে হবে’ শেরপুরে বন্যায় ৪ মৃত্যু, নৌযানের অভাবে উদ্ধার কাজ ব্যাহত নির্ভয়ে পূজামণ্ডপে যাওয়ার আহ্বান সেনাপ্রধানের সারা দেশে দুই লক্ষাধিক আনসার মোতায়েন ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত পলাতকদের তথ্য পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের পর এবার সংবিধান বাতিলের দাবি হাসনাতের সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাব করেছে জামায়াত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছে বিএনপি এক সপ্তাহে তেলের দাম বেড়েছে ৯ শতাংশ

৯ বছরেও মেলেনি ফেলানি হত্যার বিচার : হতাশ পরিবার

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২০
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: ২০১১ সালের আজকের এই দিনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর রামখানা অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় ১৪ বছরের কিশোরী ফেলানি। সাড়ে চার ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে থাকে ফেলানির নিথর দেহ। গণমাধ্যমসহ বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত। ফেলানি হত্যার ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার না পাওয়ায় হতাশ তার পরিবার। এখনো ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় দিন গুনছে ফেলানির স্বজনরা।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর ৬টার দিকে ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নিহত হয় ফেলানি। সাড়ে চার ঘণ্টা ফেলানির দেহ কাঁটাতারের ওপর ঝুলে থাকার পর লাশ নিয়ে যায় বিএসএফ। এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হলে মৃত্যুর ৩০ ঘণ্টা পর ৮ জানুয়ারি লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অব্যাহত চাপের মুখে ভারত দুই বছর পর ফেলানি হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু করে। 

২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে শুরু হয় বিচার। একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আসামি অমিয় ঘোষকে খালাস দেন বিএসএফের বিশেষ কোর্ট। পুনর্বিচারে ২০১৫ সালের ২ জুলাই একই আদালত ফের আসামি অমিয় ঘোষকে খালাস দেন। 

২০১৫ সালের ১৩ জুলাই ভারতীয় মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) ফেলানি হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে রিট করেন। ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর শুনানির পর ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে বারবার তারিখ পিছিয়ে যায়। ফলে থমকে গেছে ফেলানি হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবি। 

ফেলানির বাবা নুরুল ইসলাম নুরু বলেন, ‘আমার চোখের সামনে মেয়েডারে গুলি করে মারলো, বিচার পাইলাম না।’ ফেলানির মা জাহানারা বেগম বলেন, ‘খুনের বিচার হইলে মেয়ের আত্মাটা শান্তি পাইতো।’

ফেলানির মামলায় তার বাবা নুরুল ইসলাম নুরুকে সহায়তাকারী কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর এস এম আব্রাহাম লিংকন বলেন, ‘ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে ফেলানি হত্যাকাণ্ডের রিট এ বছর তালিকাভুক্ত না হওয়ায় কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে বিচারিক কাজ।’

বাংলা৭১নিউজ/সি এইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com