বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:১০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
গাজায় ৫ শিশুসহ আরও ৪৯ জনকে হত্যা করলো ইসরায়েল ‘পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে ইইউ : রিজওয়ানা হাসান সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নিয়ে বিজিবি-বিএসএফ উত্তেজনা রাজধানীতে পঙ্গু হাসপাতালে আগুন পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ইইউর সহায়তা চাইলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রমজান শেষ না হওয়া পর্যন্ত পণ্যের শুল্কে পরিবর্তন আনবে না সরকার অংশীজনরা কী চান তার ওপর নির্ভর করবে নির্বাচন কবে হবে ঢাকা ছাড়লেন খালেদা জিয়া ২ লাখ ৩৮ হাজার বেকারের কর্মসংস্থান করবে বেজা খালেদা জিয়াকে বার্তা পাঠিয়ে যা বললেন জিএম কাদের ইসলামী ব্যাংকের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম উদ্বোধন এলএনজি ও চাল আমদানি, ব্যয় ১০২৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা নাঈমুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বিমসটেক সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষাৎ প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা কবে নাগাদ সব শিক্ষার্থী পাঠ্যবই পাবে জানি না: শিক্ষা উপদেষ্টা ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে আহত ১০০ জন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় শুনানি মুলতবি সচিবালয়ের গেটে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

৭৫ দিন পর বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি শুরু আজ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ৬ জুন, ২০২০
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,(বেনাপোল)প্রতিনিধি: ৭৫ দিন বন্ধ থাকার পর দু‘দেশের প্রশাসন ও ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে এক বৈঠকের পর বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আজ শনিবার সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সীমান্তের জিরো পয়েন্ট এলাকায় দুই দেশের প্রশাসন ও ব্যবসায়ী নেতাদের মাঝে এ বৈঠক হয়।

করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৩ মার্চ থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার গত ২৪ এপ্রিল আমদানি-রপ্তানি চালুর অনুমোদন থাকলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমতি না থাকায় দীর্ঘদিন সড়কপথে বন্ধ ছিল ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বারবার চিঠি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে স্থলবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য শুরুর অনুমতি দেয়ার অনুরোধ করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। এছাড়াও বনগাঁর সিন্ডিকেটের কারণেও বাণিজ্যে জটিলতা দেখা দেয়। পরে রেলওয়ের মাধ্যমে পণ্য আমদানির অনুমতি দেয়ায় স্থলপথে আমদানি-রপ্তানির ওপর চাপ সৃষ্টি করে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর এলাকার শ্রমিকসহ ট্রাক মালিক ও চালকরা। বাধ্য হয়ে তড়িঘড়ি করে বৈঠকে বসে আমদানি-রপ্তানি চালু করতে রাজি হয় ভারতের প্রশাসনসহ বনগাঁ সিন্ডিকেট।

করোনার সংক্রমণ নিয়ে আশঙ্কা থাকায় সীমান্ত অতিক্রমের আগেই গাড়ি চালকদের শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা করা হবে। এছাড়াও ট্রাকগুলো উভয় দেশে স্যানিটাইজ করা হবে। ফেরার সময়ও চালকদের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। সেই সাথে দ্রুত পণ্য খালাস করে দিনে দিনে ট্রাকগুলো ফিরে যাবে।

বৈঠকে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী, বনগাঁ পৌর সভার মেয়র শংকর আঢ্য ডাকুসহ কাস্টমস, পুলিশ, বিএসএফ ও পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস, ট্রাক মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে বাংলাদেশের পক্ষে বেনাপোল বন্দর, কাস্টমস, বিজিবি ও সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন, সিএন্ডএফ স্টাফ এসোসিয়েশন ও ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, করোনার কারণে দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ। করোনার ক্রান্তি সময়ে স্বাস্থ্যবিধিসহ অন্যান্য নির্দেশনা মেনে আজ শনিবার থেকে আমদানি-রপ্তানি শুরু করতে দু‘দেশের নেতৃবৃন্দ একমত পোষণ করেছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে আমদানি-রপ্তানির জন্য ৫০টি পণ্যবাহী ট্রাক দিতে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা সম্মতি দিয়েছেন। পরে পরিস্থিতি দেখে ট্রাকের সংখ্যা বাড়ানো হবে।

এদিকে বেনাপোল স্থল বন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু করতে বন্দর কর্তৃপক্ষের প¶ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া ভারতীয় চালককরা যাতে পোর্টের বাইরে যেতে না পারে সে ব্যাপারে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য দেশের সরকার অনুমোদিত ২৩টি স্থলবন্দরের মধ্যে চলমান ১২টি বন্দরের অন্যতম বেনাপোল স্থলবন্দর। এ বন্দর থেকে ভারতের কলকাতা শহরের দূরত্ব ৮৩ কিলোমিটার। মাত্র তিন ঘণ্টায় একটি পণ্যবাহী ট্রাক আমদানি পণ্য নিয়ে পৌঁছাতে পারে কলকাতা শহরে। তেমনি একই সময় কলকাতা থেকে পণ্যবাহী ট্রাক পৌঁছায় বেনাপোল বন্দরে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে এ পথে ব্যবসায়ীদের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে প্রবল আগ্রহ রয়েছে। প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে প্রায় ৮০ হাজার মে. টন পণ্য আমদানি হচ্ছে। যা থেকে সরকার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে। আমদানি পণ্যের মধ্যে গার্মেন্টস সামগ্রী, তৈরি পোশাক, শিল্পকারখানা ও ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল, শিল্প প্রতিষ্ঠানের মূলধনী যন্ত্রপাতি, কেমিক্যাল, খাদ্যদ্রব্য, চাল, পিয়াজ, তুলা, বাস, ট্রাক ট্যাসিস, মটর সাইকেল এবং পার্টস ও টায়ার রয়েছে। রফতানি পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত দ্রব্য, সাদা মাছ, ব্যাটারি, ওভেন গামেন্টস, নিটেড গামেন্টস, নিটেড ফেব্রিকস, কর্টন র‌্যাগস (বর্জ কাপড়) উল্লেখযোগ্য।

বাংলা৭১নিউজ/এসএ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com