যোগদানের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে দ্রুত পদায়নের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ‘অবৈধ’ নিয়োগপ্রাপ্তরা। কর্মসূচি থেকে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। সোমবার (২৮ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচিতে ‘অবৈধ’ নিয়োগপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা অনৈতিকভাবে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আমাদের যোগদান স্থগিত করেছেন। নিজের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তিনি এমনটি করছেন। তারা বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মৌখিক আদেশে নয়, বরং শিক্ষকদের দলাদলির কারণে এই নিয়োগ স্থগিত রাখা হয়েছে। বৈধভাবেই আমাদের নিয়োগ হয়েছে।
তাই অনতিবিলম্বে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে পদায়ন করা না হলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেবো না। এ সময় তারা আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের পদায়নের ব্যবস্থা করা না হলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান সুমনের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে অর্ধশতাধিক ‘অবৈধ’ নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন। বক্তব্য দেন রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারদিন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফিরোজ মাহমুদ, দেলোয়ার হোসেন ডিলস, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি মো. রাসেল, মহানগর যুবলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক আরকান উদ্দিন বাপ্পি প্রমুখ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান গত ৬ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৩৮ জনকে নিয়োগ দেন। মন্ত্রণালয় সেদিনই নিয়োগপ্রাপ্তদের যোগদানে স্থগিতাদেশ দেয় বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করলে মন্ত্রণালয় সেই নিয়োগকে ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা করে। এরপর থেকেই চাকরিতে যোগদানের দাবিতে ক্যাম্পাসে থেমে থেমে আন্দোলন করে আসছেন তারা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ