সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইসলামী ব্যাংকের সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত ‘দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই’ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে চায় কানাডা কুমিল্লায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসেবার আওতাধীন খাতে ইউজার ফি আদায়ে নীতিমালার সুপারিশ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজলভ্য উৎস খোঁজার তাগিদ প্রতিমন্ত্রীর বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: আইজিপি টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী আর্থিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ইশরাক ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পুলিশ কর্মকর্তা কঙ্গোতে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার

৬৬ হাজার টাকা চিবিয়ে খেল ছাগল!

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ৭ জুন, ২০১৭
  • ৬৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: ছাগলে টিকটিকি খেয়েছে শুনে বেজায় চটেছিল শ্রীব্যাকরণ শিং। ছাগলে কী কী না-খায়, তা নিয়ে যে নাতিদীর্ঘ বক্তৃতাটি সে দিয়েছিল, বাংলা সাহিত্যে তা চির অমর। কিন্তু ছাগলে কি টাকাকড়ি খায়? ব্যাকরণ শিং-এর দেওয়া ছাগলের খাদ্য এবং অখাদ্যের তালিকা থেকে তার আঁচ মিললেও, স্পষ্ট করে কিছু ছিল না। এত দিনে তা পরিষ্কার করে দিল সেই ব্যাকরণ শিং-এরই এক উত্তরপুরুষ, উত্তরপ্রদেশের সর্বেশকুমার পালের পোষা ছাগল। সর্বেশের সাধের পুষ্যি চিবিয়ে খেয়ে ফেলল তাঁর ৬৬ হাজার টাকার নোট!
ঘটনাটা গত সোমবারের। কনৌজ জেলার সিলুয়াপুর গ্রামে সর্বেশের বাড়ি। চাষবাস করে দিন কাটে। বাড়ি সারানোর জন্য ইট কিনতে হবে বলে ৬৬ হাজার টাকা ঘরে এনে রেখেছিলেন। ট্রাউজারের পকেটে রেখে নিশ্চিন্তে স্নানে গিয়েছিলেন তিনি। স্নান সেরে ফিরে এসে যা দেখলেন তাতে তাঁর হাত পা ছড়িয়ে কাঁদার মতো হাল। সাধের পুষ্যিটি নিবিষ্ট মনে, মনের সুখে ওই নোটের বান্ডিল খেয়ে চলেছে চিবিয়ে চিবিয়ে। রে-রে করে ওঠেন সর্বেশ। ছুটে গিয়ে ছাগলের মুখ থেকে ওই নোট টেনে বের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে প্রায় সব নোট ছাগুলে দাঁতে কুটিকুটি হয়ে চলে গিয়েছে পেটে। টানাটানিতে দু’টো দু’হাজার টাকার নোট বাঁচাতে পেরেছেন তিনি। তবে সেগুলোর অবস্থাও শোচনীয়। ছাগলের থুথুমাখা, দুর্দশাগ্রস্ত সেই নোট দু’টোও আদৌ কাজে আসবে কি না তা নিয়ে ঘোর সন্দেহ রয়েছে সর্বেশের।
ভাবছেন এর পর কী হল? টাকার শোকে ক্রুদ্ধ হয়ে ‘অপরাধী’ ছাগলকে কী শাস্তি দিলেন সর্বেশ? একেবারেই ও সব কিছু নয়। বরং বিলকুল মাফ করে দিয়েছেন প্রিয় ছাগলকে। মজা করেই বললেন, “সব ধরনের কাগজ খাওয়ায় সুনাম আছে ওর। সুযোগ পেয়েই তাই নিজের প্রিয় খাবার চিবোতে লেগেছিল। তবে কী আর করা যাবে, ছাগলটা তো আমার সন্তানেরই মতো!”
তবে সর্বেশের ছাগলের এই ছাগলামিতে গোটা গ্রাম ভেঙে পড়েছে তাঁর বাড়িতে। অনেকে তো আবার ছাগলের সঙ্গে সেলফি-ও তুলতে শুরু করেছেন। অনেকে ছাগলটিকে পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। যদি ওষুধ খাইয়ে নোটগুলো বের করিয়ে নেওয়া যায়! কেউ কেউ মজা করে বলছেন, “ছাগলটাকে পুলিশের কাছে নিয়ে যাওয়া হোক। যতই হোক এটা তো একটা গুরুতর অপরাধ!” পাড়া-প্রতিবেশীদের এ সব ঠাট্টা-মস্করা হেসেই উপভোগ করছেন পাল দম্পতি। সর্বেশ আর তাঁর স্ত্রী দু’জনেরই এক সুর, “পোষা ছাগলের উপর তো আর নিষ্ঠুর হতে পারি না। সে তো আমাদের পরিবারেরই একজন। আমাদেরই বরং সতর্ক হওয়া উচিত্ ছিল।”
আর যাকে নিয়ে এত কাণ্ড, সে কি মনে মনে ব্যাকরণ শিং-এর মতো কোনও বক্তৃতা আওড়াচ্ছে? সে কথা জানতে আর একজন সুকুমার রায়ের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
সুত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com