সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
গণঅভ্যুত্থানে আহত-নিহতদের তালিকা প্রকাশসহ ৯ দাবি শেখ পরিবারের ছয় সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘দেশের ৬ কোটি শ্রমিকের আইনি সুরক্ষা ও মজুরির মানদণ্ড নেই’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তলবে যে ব্যাখ্যা দিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার মণিপুরে আসাম রাইফেলসের ক্যাম্পে হামলা উত্তেজিত জনতার রেমিট্যান্স আহরণে ‘গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেলো ইসলামী ব্যাংক মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ নতুন করে ভ্যাট আরোপ হবে সরকারের নির্দয় সিদ্ধান্ত : জিএম কাদের মোবাইল-ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট প্রত্যাহার না করলে এনবিআর ঘেরাও রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করল আরব আমিরাত এবার মহাশূন্যে বাঁধ দিয়ে বিদ্যুৎ প্রকল্প বানাবে চীন! ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব সাধারণ নির্বাচনকে ‘সর্বশ্রেষ্ঠ ও ঐতিহাসিক’ করতে চায় সরকার টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জাকিরের ঝড়, সিলেটের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি কাউন্সিল নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে বিএনপি নেতা নিহত বগুড়া বিমানবন্দর চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে হেনরীর জমি, ফ্ল্যাটসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেশে এইচএমপি ভাইরাস শনাক্ত ২৬ ফুট লম্বা স্যান্ডেল, গিনেসে নাম উঠছে সানিয়ার দীর্ঘমেয়াদী ও বড় ধরনের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ইরান

৫৭ জেলা পরিষদে ভোট সোমবার, সতর্ক অবস্থানে ইসি

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২২
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

দেশের ৫৭ জেলা পরিষদে সোমবার (১৭ অক্টোবর) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে চলবে বিকেল ২টা পর্যন্ত। নির্দলীয় এ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রতিটি ভোটকক্ষে থাকবে সিসিটিভি। প্রতিটি কেন্দ্র ইসি কার্যালয়ের মনিটরিং সেল থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এ নির্বাচন নিয়ে সতর্ক অবস্থানে থাকবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আইন অনুযায়ী- সংশ্লিষ্ট জেলার অধীনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এর আগে শনিবার দিনগত মধ্যরাতে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। এরইমধ্যে নির্বচন কমিশন (ইসি) সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

তিনটি পার্বত্য জেলা বাদে দেশের ৬১টি জেলায় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে ভোলা ও ফেনীতে সব পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় সেখানে ভোটের প্রয়োজন হচ্ছে না। এছাড়া নোয়াখালী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাচন আদালতের নির্দেশে স্থগিত করা হয়েছে।

নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৬ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও সাধারণ সদস্য পদে ৬৫ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৮ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে।

ইসির তথ্যানুযায়ী, জেলা পরিষদে মোট ৯২ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অন্যদিকে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৬০৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৪৮৫ জন।

এদিকে, নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত রাখতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে ইসি। বিশেষ করে গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে ভোট বন্ধের পর এ নির্বাচনকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ইসি। কোনো জেলায় যাতে এমপি, মন্ত্রী বা প্রভাবশালী কোনো ব্যক্তি প্রভাব খাটাতে না পারে সেজন্য এরমধ্যেই তাদের সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

নির্বাচন কমিশন থেকে একাধিক নির্দেশনা দিয়ে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের কথা বলা হয়েছে। এতে ভোটকক্ষের গোপনীয়তা রক্ষা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ভোটকক্ষে ভোটররা যাতে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে না পারেন, তা নিশ্চিতে প্রিসাইডিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনী এলাকায় মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স
ইসির যুগ্ম-সচিব আসাদুজ্জাামান বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য ৯৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা ভোটগ্রহণের আগে দুদিন, ভোটগ্রহণের দিন ও পরের দিন দায়িত্ব পালন করবেন।

তিনি বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে সব ভোটকেন্দ্রের জন্য পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে একটি মোবাইল বা স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং র‍্যাবের একটি করে মোবাইল বা স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। ১৯ বৃহত্তর জেলায় ২ প্লাটুন করে বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যান্য জেলায় এক প্লাটুন করে বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে।

ভোটার সংখ্যা ও ভোটকক্ষ
জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার ছয় হাজার ৮৬৬ জন জনপ্রতিনিধি। ৫৭ জেলার স্থানীয় সরকারের চারটি প্রতিষ্ঠানের (সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তথ্যের ভিত্তিতে এ ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্র ৪৬২ এবং ভোটকক্ষ হচ্ছে ৯২৫টি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্র ও কক্ষে সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।

নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মুহাম্মদ এনাম উদ্দীন এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর এসব জেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় পর্যায়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে জনগণের কাছে সহজে পৌঁছে দেওয়া এবং জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে আরও স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে ২০০০ সালে যে আইন প্রণীত হয়, তা বাস্তবায়িত হয় ২০১৬ সালে।

ওই বছর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক জেলা পরিষদ আইনের আওতায় প্রথমবারের মতো নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিটি জেলায় একজন করে চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য এবং পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্যসহ মোট ২১ জনের সমন্বয়ে জেলা পরিষদ কার্যক্রম শুরু করে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com