সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) গোডাউন থেকে ৫৩৫টি নতুন পানির ফ্লু মিটার গায়েব হয়ে গেছে। এ ঘটনা চুরি আখ্যা দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিষ্ঠানের আট কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া তিন কর্মকর্তাকে শোকজ করেছে সিসিক।
এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
স্থানীয়রা জানান, সিলেট সিটি করপোরেশনের কুশিঘাট এলাকায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে প্রায় ২৮ লাখ টাকা মূল্যের ৫৩৫টি নতুন ফ্লু মিটার রাখা হয়। কিন্তু এগুলো ম্যানুয়াল হওয়ায় ব্যবহার করা যায়নি। এ অবস্থায় ৫০টি ফ্লু মিটার উত্তোলনের প্রয়োজন পড়লে সেখানে সংশ্লিষ্টরা গিয়ে দেখেন গোডাউনে কোনো মিটার নেই। এনিয়ে সিসিক কর্মকর্তারা দায়িত্ব অবহেলায় আটজন কর্মচারীকে বরখাস্ত করেন। তিন কর্মকর্তাকে শোকজ করা হয়।
এর মধ্যে সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর, পানি শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান ও সহকারী প্রকৌশলী এনামুল হক তপাদারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর সিসিকের পানি শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান বাদী হয়ে এসএমপির হজরত শাহপরাণ (রহ.) থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। মিটার গায়েব হওয়ার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও সিসিক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গোপন রাখে।
বুধবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হজরত শাহপরাণ (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান।
তিনি জানান- মিটার চুরি হয়েছে উল্লেখ করে সিসিকের পানি শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর থেকে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
সিসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর জানান সিটি করপোরেশনের কুশিঘাট গোডাউন থেকে ৫৩৫টি ফ্লু মিটার পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় স্থায়ী একজন কর্মচারীকে সাময়িক ও ৭ জন অস্থায়ী কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া সিসিকের রাজস্ব কর্মকর্তাকে প্রদান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বর্তমানে যেসব ফ্লু মিটার ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো অটোমেটিক। আর যেসব ফ্লু মিটার পাওয়া যাচ্ছে না সেগুলো ম্যানুয়াল ছিল।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ