প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক এনুসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
চার্জশিটভুক্ত অন্য দুই আসামি হলেন, এনামুল হক এনুর সহযোগী হারুনুর রশিদ ও আবুল কালাম আজাদ।
এর আগে, ২০২১ সালে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হলেও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত আইনি জটিলতায় তা ফেরত আসে। এরপর বিষয়টি ব্যাখ্যা করে আবারও চার্জশিট অনুমাদন দেয় দুদক। শিগগিরই তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করবেন।
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, এনামুল হক এনুর বিরুদ্ধে ৪৭ কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৭৮ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া, এনুর সহযোগী হারুনুর রশিদ ও আবুল কালাম আজাদ এনামুল হক তাকে মোট ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখতে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছেন। এ কারণে তাদের নামও চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সম্পূরক চার্জশিটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামি এনামুল হক এনুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে ৪৭ কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৭৮ টাকার টাকার সম্পদ অর্জনের প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অন্য দুই আসামি এসব টাকা বিভিন্ন স্থানে সিন্দুকে রাখা, বিভিন্ন ব্যাংকে জমা করা, ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগ করাসহ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণ ক্রয় করার মাধ্যমে স্থানান্তর/রুপান্তর/হস্তান্তর করে সহযোগিতা করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। অধিকতর তদন্তে এসব অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর এনামুল হক এনুর বিরুদ্ধে ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে মামলার তদন্তভার পান মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ